গত দুই বছরে ১০ হাজার ৬৯৫ জন ইপিএস কর্মী দক্ষিণ কোরিয়ায় কর্মসংস্থানের সুযোগ পেয়েছেন।

রোববার (৭ জুলাই) বিকেলে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ কোরিয়াগামী ইপিএস কর্মীদের কোরিয়ান ভাষা প্রশিক্ষণ সমাপনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, দুই দেশের দূতাবাস ও এইচআরডি কোরিয়ার সহযোগিতায় এবং নিয়োগকর্তার চাহিদা অনুযায়ী বোয়েসেল দ্রুত কর্মী প্রেরণ করায় সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দক্ষিণ কোরিয়ায় অধিক সংখ্যক কর্মী প্রেরণে অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। 

গত দুই বছরে ১০ হাজার ৬৯৫ জন ইপিএস কর্মীর দক্ষিণ কোরিয়া কর্মসংস্থান সুযোগ পেয়েছেন। ফলে বাংলাদেশ ২০২৩ সালে ১০ হাজার এবং ২০২৪ সালে ১১ হাজার ৫০০ জন কর্মী প্রেরণের কোটা লাভ করে। এ পর্যন্ত ২০০৮ সাল থেকে জুন ২০২৪ পর্যন্ত মোট ৩৪ হাজার ৬৯ জন এপিএস কর্মী সফলভাবে দক্ষিণ কোরিয়া গমন করেছেন এবং এ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী ব‌লেন, বিদেশে বাংলাদেশের শ্রমবাজারের টেকসই উন্নয়নের জন্য শ্রমিকদের কারিগরি ও ভাষা দক্ষতা বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়া হ‌চ্ছে। আমাদের কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলো এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখতে সক্ষম।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন দক্ষ করে জনশক্তি বিদেশে পাঠাতে হবে এবং বৈধ পথে তাদের অর্জিত রেমিটেন্স দেশে পাঠাতে হবে। এ লক্ষ্যে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করছি। আমাদের কর্মীরা বিভিন্ন কারিগরি জ্ঞান ও ভাষার ওপর দক্ষতা অর্জন করতে সক্ষম হচ্ছে।

মালদ্বীপগামী ডাক্তারদের উদ্দেশ্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আপনারা একেকজন দেশের প্রতিনিধি, বাংলাদেশের দূত। আপনাদের কাজ, চলাফেরা, ব্যবহারে দেশের সুনাম হবে। আপনাদের অনুসরণ করে দেশ থেকে আরো ডাক্তার বিভিন্ন দেশে যেতে পারবে।

তিনি বলেন, ভবিষ্যতে যারা বিদেশ যেতে চায় তাদের জন্য আপনারা অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবেন। আপনারা তাদেরকে উদ্বুদ্ধ করবেন যাতে সবাই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ হয়ে বিদেশে যায়।

এ সময় বোয়েসেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন, ওয়েস আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমান, কোরিয়ার ডিরেক্টর এইচআরডি কিম ডং চ্যানসহ অন্যান্য উপস্থিত ছিলেন।

এনআই/জেডএস