মোট ব্যয়ের অর্ধেকের বেশি হবে ডিএনসিসির তহবিল থেকে : মেয়র আতিক
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ছিল সিটি কর্পোরেশনকে নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে, সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা ডিএনসিসির সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে কার্যক্রম শুরু করেছি। নিজের পায়ে দাঁড়াতে হলে রাজস্ব আয় বৃদ্ধির বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে ধারাবাহিকভাবে রাজস্ব আয় বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছি। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ডিএনসিসির মোট বাজেটের ৫৩ শতাংশ ব্যয় নিজস্ব তহবিল থেকে যোগান দেওয়া হবে। মোট ব্যয়ের অর্ধেকের বেশি বহন করা হবে ডিএনসিসির নিজস্ব তহবিল থেকে।
বিজ্ঞাপন
রোববার (০৭ জুলাই) রাজধানীর গুলশান-২ নগর ভবনের হল রুমে ২য় পরিষদের ২৯তম কর্পোরেশন সভা ও বাজেট সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মেয়র বলেন, কর হার বৃদ্ধি না করেও রাজস্ব আদায়ে নতুন মাইলফলক সৃষ্টি করেছে ডিএনসিসি। অনলাইনে হোল্ডিং ট্যাক্স ও ট্রেড লাইসেন্স সংগ্রহের ফলে রাজস্ব আদায় উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। নগরবাসী ঘরে বসেই অনলাইনে ডিএনসিসির হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধ করতে পারছে। ফলে নাগরিক ভোগান্তি কমেছে। অনলাইন পদ্ধতির ফলে দুর্নীতি ও অনিয়ম রোধ করা সম্ভব হয়েছে। নিশ্চিত হয়েছে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা।
বাজেটে তিনটি বিষয়কে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, সুস্থ, সচল, আধুনিক স্মার্ট ডিএনসিসি গড়তে বাজেটে তিনটি বিষয়কে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে; এক, জনস্বাস্থ্য রক্ষা, দুই, জলাবদ্ধতা নিরসন, তিন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা। জনস্বাস্থ্য রক্ষায় ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করে পরিচ্ছন্ন শহর গড়তে ডিএনসিসির বাজেটে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং খাল উদ্ধারপূর্বক খালের উন্নয়ন তরান্বিত করা হবে। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি বাস্তবায়নসহ অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
সভায় ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিকের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগে. জেনা. মো. মঈন উদ্দিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগে. জেনা. ইমরুল কায়েস চৌধুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসান প্রমুখ।
এএসএস/এসকেডি