সহপাঠীর হাতে কমার্স কলেজের শিক্ষার্থী খুন
রাজধানীর মিরপুরের শাহ আলী থানা এলাকায় ঢাকা কমার্স কলেজের এক শিক্ষার্থীর হাতে অপর এক শিক্ষার্থী খুন হয়েছে।
নিহতের নাম জুবায়ের হাসান রাফিত (১৮)। তিনি কমার্স কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। সহপাঠীকে হত্যায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর নাম রাজিন চৌধুরী।
বিজ্ঞাপন
শনিবার (৬ জুলাই) সন্ধ্যায় কমার্স কলেজের স্টাফ কোয়ার্টারে এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে শাহ আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তারিকুজ্জামান বলেন, কমার্স কলেজের একাদশ শ্রেণির দুই শিক্ষার্থীর দ্বন্দ্বের জেরে হত্যা ঘটনা ঘটেছে। আমরা ঘটনাস্থলে আছি, এ বিষয়ে কাজ করছি।
কী কারণে হত্যা– জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা এখনো কারণ সম্পর্কে জানি না। অভিযুক্ত শিক্ষার্থী পলাতক রয়েছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন
নিহত শিক্ষার্থী জুবায়েরের মামা মো. নুরুজ্জামান বলেন, সকালে কোচিং করার জন্য জুবায়ের বাসা থেকে বের হয়। পরে সে আর বাসায় না ফেরায় তাকে বিভিন্ন জায়গা খোঁজাখুঁজি করা হয়। সন্ধ্যায় কলেজের এক শিক্ষক জানান তাকে হত্যা করা হয়েছে। এসে দেখি কমার্স কলেজের স্টাফ কোয়ার্টারের তৃতীয় তলায় আমার ভাগিনা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।
তিনি আরও বলেন, কিছুদিন আগে কলেজের কিছু বন্ধুর সঙ্গে জুবায়েরের ঝগড়া হয়েছিল। ওই ঘটনা কলেজের শিক্ষকরা মিটমাট করে দেন। তখন শিক্ষকরা তাকে বলেছিল তার বন্ধুরা ভালো না। তাদের কাছ থেকে দূরে থাকতে। তারাই জুবায়েরকে হত্যা করেছে বলে ধারণা নুরুজ্জামানের।
জানা গেছে, অভিযুক্ত রাজিন চৌধুরীর বাবার নাম ইকবাল চৌধুরী। তিনি পেশায় একজন আইনজীবী। রাজিনের মা ঢাকার বাইরের একটি কলেজের শিক্ষিকা।
আর নিহত শিক্ষার্থীর গ্রামের বাড়ির নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে। তার বাবার নাম আবুল বাসার। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে সে ছিল সবার বড়। ঢাকায় মামার বাসায় থেকে পড়াশোনা করত।
জানতে চাইলে হত্যার ঘটনা জানলেও কারণ জানেন না বলে জানান কমার্স কলেজের অধ্যক্ষ আবু মাসুদ। তিনি বলেন, ঘটনা জানার পর আমাদের প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শিক্ষকদের পাঠানো হয়েছে। তারা হত্যার কারণ সম্পর্কে জানতে পারেননি।
এমএসি/এসএসএইচ