ছবি : সংগৃহীত

প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। সেইসব খবর থেকে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।

শাহজালাল তালুকদার ছিলেন বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার আশেকপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। ২০২৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর তিনি মোটরসাইকেলে যাচ্ছিলেন। পথে তাঁকে ধাওয়া করে কয়েকজন সন্ত্রাসী। তিনি একপর্যায়ে একটি বাড়িতে আশ্রয় নেন। সেখানে তাঁকে কুপিয়ে খুন করা হয়।

এর পাশাপাশি অন্যান্য খবরগুলো দেখে আসি—

প্রথম আলো

বগুড়ায় আওয়ামী লীগের দ্বন্দ্বে ১৫ বছরে ৫১ খুন

বগুড়ায় ১১ দিন অবস্থান করে জেলা পুলিশ, স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও জেলার রাজনীতিসংশ্লিষ্ট মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জেলায় গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ, দলটির সহযোগী সংগঠন যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ এবং ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগের ৫৮ জন নেতা-কর্মী খুন হয়েছেন। এর মধ্যে দলীয় কোন্দল ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে খুন হয়েছেন ৫১ জন। আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টার প্রধান কারণ দলের পদ পাওয়া, মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ, দখল, পরিবহন খাতে চাঁদাবাজি, বালুমহালের নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি।

৫১ জনের মধ্যে আওয়ামী লীগের ১০, যুবলীগের ২৫, স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৯ ও ছাত্রলীগের ৭ জন। স্থানীয় রাজনীতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল মানুষেরা বলছেন, আধিপত্য বিস্তার এবং মাদক ও অন্যান্য ব্যবসার নিয়ন্ত্রণে প্রবণতা বেশি যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে। এ কারণে এই দুই সংগঠনের নেতা–কর্মী খুনের সংখ্যা বেশি।

কালবেলা

মামলা বেড়ে দ্বিগুণ বিচারপতি কমেছে

দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টে মামলার জট বেড়েই চলেছে। সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে বিচারাধীন মামলা প্রায় সাড়ে ৫ লাখে পৌঁছেছে। এ ছাড়া আপিল বিভাগে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা প্রায় ২৬ হাজার। এক যুগ আগের সঙ্গে তুলনামূলক বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, এ সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ আদালতে মামলার জট বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।

জানা গেছে, এক যুগ আগে ২০১২ সালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে বিচারপতি কর্মরত ছিলেন ১০১ জন। তখন মামলা বিচারাধীন ছিল ২ লাখ ৯৭ হাজার। এক যুগ পরে এসে বর্তমানে হাইকোর্টে মামলা বিচারাধীন ৫ লাখ ৪৩ হাজার। মামলা বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হলেও বিচারপতি কমে বর্তমানে কর্মরত রয়েছেন ৮৩ জন।

সমকাল

প্রিপেইডেও ভূতুড়ে বিল

চট্টগ্রামের সলিমপুরের গ্রাহক মশিউর রহমানের একাধিক মিটারে এপ্রিল মাসের বিদ্যুৎ বিল আসে ৬ লাখ ৬৬ হাজার ৭২৮ টাকা। মে মাসে ওই বিল বেড়ে হয় ১৮ লাখ ৬৬ হাজার ৯৯০ টাকা। মশিউরের মতো এমন অস্বাভাবিক বিলের কবলে দেশের লাখ লাখ বিদ্যুৎ গ্রাহক। প্রতিবছর মে-জুন এলেই গ্রাহকরা এমন ভোগান্তিতে পড়েন। প্রিপেইড মিটারেও ঘটছে এমন ভূতুড়ে বিলের ঘটনা।

দেশে বর্তমানে ছয় বিতরণ কোম্পানির বিদ্যুৎ গ্রাহক মোট ৪ কোটি ৭১ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ৫২ লাখ গ্রাহক প্রিপেইড মিটার ব্যবহার করেন। বাকিদের ক্রমান্বয়ে এর আওতায় আনার কাজ চলছে। বিতরণ কোম্পানিগুলো হলো– বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি), পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি (আরইবি), ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি), ঢাকা ইলেকট্রিক পাওয়ার কোম্পানি (ডেসকো), ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন  কোম্পানি (ওজোপাডিকো) ও নর্দার্ন ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো)।

যুগান্তর

চার চ্যালেঞ্জে অর্থনীতি

নতুন অর্থবছরে দেশের সার্বিক অর্থনীতিকে প্রধান চারটি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সামনে এগোতে হবে। এগুলো হচ্ছে-মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতিতে লাগাম টানা, ডলার সংকট মোকাবিলা করে বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখা, বিনিয়োগ বাড়াতে উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করা এবং রাজস্ব আয় বাড়ানো।

সূত্র জানায়, এসবের পাশাপাশি আরও কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে আইএমএফ-এর শর্তের বাস্তবায়ন এবং এর প্রভাব মোকাবিলা। বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ বাড়াতে আস্থার সঞ্চার করা, রেমিট্যান্স প্রবাহের প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা, রপ্তানি প্রবৃদ্ধি নেতিবাচক থেকে ইতিবাচক অবস্থায় আনা।

কালের কণ্ঠ

ভোট বিপ্লবে ক্ষমতায় এলো লেবার পার্টি

যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে মধ্য-বামপন্থী লেবার পার্টি বিপুল বিজয় পেয়েছে। লেবার পার্টি ভালোভাবেই জিতবে বলে আগে থেকেই মনে করা হলেও জয়টা এত বড় হবে, তা অনেকেরই ধারণার বাইরে ছিল। লেবার পার্টির এই জয়কে বর্ণনা করতে ব্রিটিশ মিডিয়ায় সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত শব্দটি সম্ভবত ‘ল্যান্ডস্লাইড’, যার একটি আক্ষরিক বাংলা ভূমিধস জয়!

বিদ্যমান কর আর না বাড়ানো, বৃহত্তর নিরাপত্তা কমান্ড গড়া, কর্মসংস্থান বৃদ্ধিসহ ভোটারদের নানা আশ্বাস দিয়েছে স্টারমারের লেবার পার্টি।

কালবেলা

সংগঠন গোছাতে ব্যর্থ যুবলীগ

ক্যাসিনো ব্যবসা, টেন্ডার বাণিজ্য, চাঁদাবাজি, জমি-বাড়ি দখলসহ নানা কর্মকাণ্ডে আলোচিত-সমালোচিত হয় যুবলীগ। ২০১৯ সালের অক্টোবরে শুদ্ধি অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আটক হন অনেকে। তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই বলেছেন, ‘আওয়ামী যুবলীগে কিছু মনস্টার (দানব) তৈরি হয়েছে। যারা ছাত্রলীগের চেয়েও খারাপ।’

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শীর্ষ নেতৃত্বের অবহেলায় গতি নেই দলীয় কর্মকাণ্ডে। এর প্রভাব পড়েছে জেলা-উপজেলা-থানা শাখার সম্মেলনে। গত পৌনে পাঁচ বছরে ৭৮টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে মাত্র ১৭টিতে হয়েছে সম্মেলন, প্রণীত হয়েছে আংশিক কমিটি। মাত্র ৪টি শাখায় দেওয়া হয়েছে পূর্ণাঙ্গ কমিটি।

খবরের কাগজ

রাজধানীতে বিদ্যুৎ চুরি: বছরে ১০ কোটি টাকা লোপাট

দেশের চলমান বিদ্যুৎসংকট কাটাতে সরকার যখন মরিয়া ঠিক সেই সময়ে দায়িত্বশীলদের চোখ ফাঁকি দিয়ে রাজধানীর পাঁচ এলাকায় বিদ্যুৎ চুরি ও বিক্রি করে বছরে চোরের পকেটে ঢুকছে ১০ কোটি টাকা। প্রতিটি এলাকায় বিদ্যুৎ চুরির সঙ্গে জড়িত আছে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট।

অনুসন্ধানে জানা যায়, পুরানা পল্টন, বায়তুল মোকাররম, গুলিস্তান, সদরঘাট ও শ্যামবাজারের ফুটপাতে কম করে হলেও প্রতিদিন বসছে প্রায় ১০ হাজার হকার। এসব হকার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত আলো পেতে একটি করে বাতি ব্যবহার করে থাকেন।

আজকের কাগজ

প্রতিদিন একটি ওষুধ কারখানা

২০২৩ সালের ২৬ নভেম্বর থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত ছয় মাসে ১২০টি নতুন প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। এই ছয় মাসের মধ্যে মোট কর্মদিবস ছিল ১০৩টি। সেই হিসাবে দিনে গড়ে একটির বেশি কারখানা অনুমোদন পেয়েছে, যার বড় অংশই ইউনানি, হারবাল ও আয়ুর্বেদিক।

দেশে বর্তমানে সব ধরনের ওষুধ তৈরির প্রতিষ্ঠান রয়েছে হাজারখানেক। অ্যালোপ্যাথিক কোম্পানিগুলোর মধ্যেও ৩০-৪০টি প্রতিষ্ঠান চাহিদার মান ঠিক রেখে চাহিদার ৯৫ শতাংশ ওষুধ তৈরি করছে। অন্যগুলোর অবস্থা খুবই নাজুক; বিশেষ করে বিকল্প ওষুধের ক্ষেত্রে খুবই সমস্যা হচ্ছে। এগুলোর গুণমান ও দাম—কোনোটিই নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে না।

এছাড়া স্বল্প সময়ে ভারি বৃষ্টির প্রবণতা বেড়েছে; চাপে সরকার সুযোগে বিএনপি; করোনা ও মূল্যস্ফীতিতে ভরাডুবি ঋষির দলের; চড়া সুদে ঋণ দিয়ে কৌশলে সম্পত্তি দখল করেন ফরিদ—সংবাদগুলো বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।