বাংলাদেশে ইউনানী ও আয়ুর্বেদ চিকিৎসা পদ্ধতিকে অল্টারনেটিভ মেডিসিনের পরিবর্তে ‘ট্র্যাডিশনাল মেডিসিন’ বলে অভিহিত করার দাবি জানিয়েছে প্রাচীন চিকিৎসা উন্নয়ন প্রচেষ্টা (প্রাচি)। একই সঙ্গে ৫ জুলাইকে জাতীয় ইউনানী ও আয়ুর্বেদ দিবস হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের দাবিও জানিয়েছে সংগঠনটি।

শুক্রবার (৫ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এসব দাবি জানিয়েছেন সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রাচির জাতীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মুহাম্মদ শফিকুর রহমান। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের জাতীয় কার্যকরী কমিটির সভাপতি ডা. সালেহ মোহাম্মদ আবদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক হাকীম মোহাম্মদ কামরুজ্জামান ও কবিরাজ আবদুল মোতালেব মতিন প্রমুখ।

চিরায়ত চিকিৎসা ব্যবস্থার বিশ্লেষণ ও বাস্তবায়নের দিক নির্দেশনা সম্বলিত প্রাচির কার্যপত্র উপস্থাপন করেন সংগঠনটির স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং মুখপাত্র মোখলেসুর রহমান।

মতবিনিময়ে বক্তারা বলেন, ইউনানী ও আয়ুর্বেদ কলেজগুলোর সঙ্গে ১০ শয্যার হাসপাতাল স্থাপন করা জরুরি। হাসপাতাল না থাকার কারণে বিশাল জনগোষ্ঠী এই দুই চিকিৎসা পদ্ধতির সুফল লাভ হতে বঞ্চিত হচ্ছেন। এছাড়া আমাদের ইউনানী ও আয়ুর্বেদ চিকিৎসকদের ইন্টার্নশিপ করতে হয় এলোপ্যাথিক হাসপাতালে। এ বিষয়ে সরকারের কোনো নজর নেই, এমনকি পৃষ্ঠপোষকতাও নেই। উল্টো চরম অবহেলা রয়েছে।

তারা বলেন, আমাদের এ ধরনের হাসপাতাল না থাকলেও পাশের দেশ ভারতেই বিশ্বমানের চক্ষু, দাঁত ও ক্যান্সারের বিশেষায়িত হাসপাতাল রয়েছে। তাই প্রাচি মনে করে বাংলাদেশে অন্তত একটি পাবলিক ইউনানী ও আয়ুর্বেদ বিশ্ববিদ্যালয় থাকা উচিত। সেইসঙ্গে এই শিক্ষার মান নির্ধারণও জরুরি।

তাদের দাবি, বাংলাদেশ ড্রাগ অ্যান্ড কসমেটিক অ্যাক্ট-২০২৩ এলোপ্যাথি চিকিৎসার জন্য সঠিক হলেও ইউনানী ও আয়ুর্বেদের জন্য এটি প্রযোজ্য হতে পারে না। আলোচ্য আইনটি পাশের পূর্বে এই দুই চিকিৎসা পদ্ধতির মৌলিক রীতিনীতি মেনে তা চূড়ান্ত করা একান্ত আবশ্যক। একই সঙ্গে জাতীয় ইউনানী ও আয়ুর্বেদ ফর্মুলারি নতুন করে প্রণয়নের দাবি জানায় সংগঠনটি। 

টিআই/এমএসএ