গ্যাস অনুসন্ধানে খননে যে প্রকল্প নেওয়া হয়েছে তাতে আড়াই থেকে তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেছেন, গ্যাস পেলে দেখা যাবে ২০ গুণ টাকা ফেরত পাওয়া যাবে। আমরা এখানে সরকারের কাছে কিছু টাকা বিনিয়োগ করার জন্য আবেদন করেছি। সরকার চিন্তা-ভাবনা করছে।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সচিবালয়ে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা এখন গভীরে খনন করছি। চার হাজার মিটার নিচে চলে যাচ্ছি। মাটির চার-পাঁচ কিলোমিটার নিচে চলে যাব। সেখানে গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা আরও দুটি এফএসআরইউ করব। আমরা একটি প্রকল্প নিয়েছি, আগামী ২০২৭ সাল থেকে যাতে আর কোনো রকমের গ্যাসের সমস্যা না হয়। আমাদের ৪৬টি গ্যাস ফিল্ড আরও ১০০টি কূপ খনন করা হবে। ১৪৬টি কূপ খননের কাজ চলমান রয়েছে।

সরকার আইএমএফ’কে বছরে চারবার বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কথা বলেছে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মূল্য সমন্বয়ের বিষয়টি আমরা চলমান রেখেছি। ‌সময় অনুযায়ী আমরা মূল্য সমন্বয় করেছি। ‌এ পর্যন্ত দুবার করেছি। বাকি সমন্বয় যেটা হবে সেটা সময়মতো হবে যখন সরকার আমাদেরকে বলবে সেই অনুপাতে হবে।

তিনি বলেন, তেলের ক্ষেত্রে আমরা প্রতি মাসেই চেষ্টা করছি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। আমরা চাই যত কমে এডজাস্টমেন্ট করা যায়। এটা সরাসরি সবকিছুর সঙ্গে জড়িত। বিদ্যুতের ক্ষেত্রেও তাই।

তিনি আরও বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনে যে গ্যাসটা নেয়। সেখানে একটা আলোচনা চলছে, আমরা দাম বাড়াবো। সেটা খুচরা পর্যায়ে প্রভাব পড়বে না।

আগামী তিন থেকে চার দিনের মধ্যে বিদ্যুৎ আগের থেকে ভালো হবে। আর মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে পূর্ণাঙ্গ বিদ্যুৎ এ বছর শেষের মধ্যেই চলে আসবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।

এসএইচআর/এমএ