অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান বলেছেন, দেশের টেকসই উন্নয়নের জন্য বিপুল সামুদ্রিক সম্পদকে কাজে লাগাতে হবে। ব্লু ফাইন্যান্স শুধু অর্থ মন্ত্রণলায়ের বিষয় নয়, এর সঙ্গে অনেক মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অংশীদারিত্ব রয়েছে।

বুধবার (৩ জুলাই) ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক আয়োজিত সম্মেলনের ব্লু ফাইন্যান্স ব্রেকআউট সেশনে চেয়ারপার্সন হিসেবে বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ইন্টারনাল ফাইন্যান্স কর্পোরেশন বিশ্বে বিভিন্ন দেশে ব্লু বন্ড ও ব্লু লোন ইস্যু করছে, বাংলাদেশও এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এবং আইএফসি দেশে ব্লু বন্ড চালু করার লক্ষ্যে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা ও ২১০০ সালের ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়নের জন্য ব্লু ইকোনমি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সরকার পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের মাধ্যমে সামুদ্রিক সম্পদ আহরণে বিনিয়োগ ও সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

অর্থ প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, সুনীল অর্থনীতিতে বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য উদ্ভাবনী অর্থায়ন মডেল অপরিহার্য। সামুদ্রিক সম্পদ আহরণ ও এর যথাযথ ব্যবহারের গুরুত্ব বিবেচনা করে সরকার চলতি অর্থবছরে গবেষণা ও উন্নয়ন কার্যক্রমের জন্য একশত কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। আমাদের ব্লু ইকোনমি সেল সামুদ্রিক খনিজ এবং অন্যান্য সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহারের জন্য ২০টি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে।

ওয়াসিকা আয়শা খান বলেন, ২০৩০ সাল নাগাদ মহাসাগরীয় অর্থনীতি দ্বিগুণ হয়ে তিন ট্রিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে বলে আশা করা হচ্ছে, একই সঙ্গে ৪০ মিলিয়ন লোককে কর্মসংস্থান করবে।

এমএম/এমজে