বাংলাদেশে ফিন্যান্সিয়াল টেকনোলজি (ফিনটেক) সেক্টরে বিনিয়োগের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান। তিনি বলেছেন, সরকার বেসরকারি খাতের সহযোগী হয়ে দেশের উন্নয়নে কাজ করছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি স্থিতিশীল ও ব্যবসায়িক পরিবেশ ভালো। এজন্য বাংলাদেশে ব্যবসা করা সহজ।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) ঢাকায় ওয়েস্টিন হোটেলে আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশ আয়োজিত ড্রাইভিং ফিন্যানসিয়াল ইনক্লুশন ফর স্মার্ট বাংলাদেশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং উন্নয়ন সহযোগী। বাংলাদেশের বৃহত্তম রপ্তানি ও বৈদেশিক বিনিয়োগের ও উৎস যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন কোম্পানি, মাস্টারকার্ড এবং ভিসা বাংলাদেশের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং ক্যাশলেস সোসাইটি তৈরিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে।

অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল পেমেন্টকে উৎসাহিত করতে সরকার বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। ক্যাশলেস লেনদেন ২০২৫ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ এবং ২০৩১ সালের মধ্যে শতভাগ অর্জনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ২০২৬ সালের মধ্যে শতভাগ মানুষকে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির আওতায় আনার লক্ষ্য নিয়ে জাতীয় আর্থিক অন্তর্ভুক্তি কৌশল ২০২১-২০২৬ বাস্তবায়ন করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশের অঙ্গীকার বাস্তবায়নে চলতি অর্থবছরের বাজেটে এ কার্যক্রমের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

এক ব্যবসায়ীর প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন,‘ব্যাংকের সুদহার বাজারভিত্তিক করা হচ্ছে এবং মুদ্রা বিনিময় হার পদ্ধতিতেও পরিবর্তনটা আনা হয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে এর ইতিবাচক ফল পেতে শুরু করেছি। জুন মাসে সর্বোচ্চ রেমিটেন্স এসেছে।’

তিনি বলেন, সুদহার যখন নয়-ছয় ছিল সেসময় আমরা খেলাপি হওয়ার মতো অনেক ঘটনা দেখেছি। ব্যবসার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থায়ন সরবরাহে বাজারভিত্তিক সুদহার কেমন হয়, সেটা দেখার জন্য আরও কিছুটা সময় দেওয়ার প্রয়োজন।

এমএম/এমজে