ফাইল ছবি

পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে একীভূত করে অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন এবং চুক্তিভিত্তিক ও অনিয়মিত কর্মচারীদের নিয়মিতকরণের দুই দফা দাবিতে সোমবার (১ জুলাই) থেকে ফের কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন সারা দেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৪০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী।

রোববার (৩০ জুন) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এজিএম প্রকৌশলী রাজন কুমার দাস এ ঘোষণা দেন।

তিনি বলেন, দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের কাজে নিয়োজিত পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের দ্বৈত নীতির কারণে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা হতে বঞ্চিত হচ্ছে দেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী। দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের কাজে নিয়োজিত কর্মীরা একই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করলেও পদ-পদবী, বেতন-ভাতা, বোনাসসহ পদোন্নতির ক্ষেত্রে চরম বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে।

তিনি বলেন, এসব বৈষম্যের বিরুদ্ধে এবং অভিন্ন চাকরি বিধি বাস্তবায়নের দাবিতে গত ৫ মে থেকে কর্মবিরতি পালন করে কর্মকর্তা কর্মচারীরা। সমস্যা সমাধানে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে আলোচনায় বসবে বিদ্যুৎ বিভাগের এমন আশ্বাসে কাজে ফিরে যাই এবং বিদ্যুৎ বিভাগের চাহিদা অনুযায়ী সারা দেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ৩৭ হাজার ৫৪২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর স্বাক্ষর সম্বলিত চিঠি বিদ্যুৎ বিভাগসহ বিআরইবিতে জমা দেওয়া হয়। যেখানে বোর্ডের প্রতি অনাস্থা জানানো হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তাই আবারো বাধ্য হয়ে আমরা কর্মবিরতিতে যাচ্ছি।

রাজন কুমার দাস বলেন, সোমবার সকাল থেকে সারা দেশে সবগুলো পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রধান কার্যালয়ের সামনে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অবস্থান নেবেন। গ্রাহক সেবা সচল রেখে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বোর্ড কর্তৃক কোনো প্রকার উসকানিমূলক আচরণ বা হয়রানি করা হলে যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির জন্য পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড এককভাবে দায়ী থাকবে।

তাদের দাবিগুলো হলো- 

# স্মার্ট ও টেকসই বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বিনির্মাণে আরইবি-পিবিএস একীভূতকরণসহ অভিন্ন চাকরি বিধি বাস্তবায়ন করতে হবে।

# ভবিষ্যৎ বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সচল রাখতে এবং গ্রাহক সেবার মান উন্নয়নের জন্য সব চুক্তিভিত্তিক ও অনিয়মিত কর্মচারীদের চাকরি নিয়মিত করতে হবে। 

ওএফএ/এমজে