আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, ব্যাংক লুট, বিদেশে অর্থপাচার এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিতে হবে। বেনজীর সাহেব বা আজকে সেই ছাগল কাণ্ডের মতিউরের কথাই বলেন, তারা কেন আইনকে ভয় পায়, আইনকে ভয় পায় বলেই তো আমাদের ভয় হয়, নিশ্চয়ই তারা দুর্নীতিগ্রস্ত এবং তাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে সেগুলো সত্য।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

অ্যাডভোকেট কামরুল বলেন, বিশ্বের অন্যতম সৎ রাষ্ট্র নায়ক আমাদের প্রধানমন্ত্রী। ব্যাংক লুটেরা, অর্থ পাচারকারী এবং সমস্ত দুর্নীতিবাজরা যাতে আমাদের গায়ে চুনকালি মাখতে পারে না। সেজন্য তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। যদি এই অপকর্মকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায় তবে শেখ হাসিনা মালয়েশিয়ার মাহাথির মোহাম্মদকেও ছাড়িয়ে যাবেন।

বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে সংসদ সদস্যরা বলেন, এবারের বাজেট জনমুখী ও দরিদ্র-বিমোচনে সহায়ক। এছাড়া আগামী ২০৪১ সালে বাংলাদেশ উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত হতে এ বাজেট সহায়ক হবে।

এ সময় এমপিরা ব্যাংক লুটেরা ও অর্থ-পাচারকারী ও দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে আহ্বান জানান। একই সঙ্গে তাদের জন্য আমদানি করা গাড়ির ওপর ২৫ শতাংশ করারোপের যে প্রস্তাব অর্থমন্ত্রী করেছেন তা প্রত্যাহারেরও দাবি জানান।

কামরুল ইসলাম বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী ক্রমান্বয়ে মালয়েশিয়ার মাহাথির মোহাম্মদকে ছাড়িয়ে যাবেন। যদি দুর্নীতি, ট্যাক্স লুটেরা এবং এই অপকর্ম যারা করে তাদের বিরুদ্ধে আজ ব্যবস্থা নেওয়া যায়। বিশ্বাস করি আবার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে, প্রধানমন্ত্রী আবার সরকার গঠন করতে পারবেন। এই দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। আমরা রাজনীতি যারা করি আমাদের লজ্জা হয় এই সমস্ত লোকদের জন্য।

আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, ইদানীং যে সব ঘটনা ঘটছে আমি বিশ্বাস করি এগুলো ষড়যন্ত্রেরও অংশ। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে হঠাৎ করে আজ কিছু দুর্নীতিবাজ, সাবেক কর্মকর্তাদের দুর্নীতি নিয়ে প্রপাগান্ডা চালানো হচ্ছে। কিন্তু এ কথা স্বীকার করতেই হবে যাদের বিরুদ্ধে আজ অভিযোগ, তারা কেন আইনকে ভয় পায়, তারা আইনকে ভয় পেয়ে কেন বিদেশে চলে যায়? আইনকে ভয় পায় বলেই তো আমাদের ভয় হয় নিশ্চয়ই তারা দুর্নীতিগ্রস্ত।

বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নেন এমপি ও সাবেক মন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন, এমপি শফিকুল ইসলাম শিমুল, আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ, মুন্নুজান সুফিয়ান, আরমা দত্ত, দেওয়ান জাহিদ আহমেদ, মো, হুছামুদ্দীন চৌধুরী, রেজিয়া ইসলাম, মহিউদ্দিন আহমেদ, মো. আসাদুজ্জামান, গোলাম সরওয়ার টুকু, এস এম আল মামুন, এ বি এম শহিদুল ইসলাম, মো. আখতারউজ্জামান, দিলোয়ারা ইউসুফ, মাহমুদ হাসান, রেজওয়ান হাসান তৌফিক, ফেরদৌস আহমেদ, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী রোকেয়া সুলতানা প্রমুখ।

এসআর/এসকেডি