ফাইল ছবি

রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম বলেছেন, রেলওয়ের টিকিট কালোবাজারি রোধসহ টিকিটের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার স্বার্থে বর্তমানে ব্যাপক চেকিং ব্যবস্থা চালু রয়েছে। শুধু চলতি বছরের এপ্রিল মাসেই রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চল মিলে বিনা টিকিটের যাত্রীদের কাছ থেকে ৪ কোটি ৫৭ লাখ ১৭ হাজার ৩৮৯ জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

মন্ত্রী জানিয়েছেন, টিকিট কালোবাজারি রোধে বাংলাদেশ রেলওয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনগুলোতে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যক্রম প্রতিরোধ করা হচ্ছে। টিকিট কালোবাজারি প্রতিরোধে বাংলাদেশ রেলওয়ের উভয়াঞ্চলের বিভিন্ন ট্রেনে নিয়মিতভাবে টিকিট চেকিং করা হচ্ছে। নিয়মিত চেকিংয়ের বাইরেও ব্লক চেকিং ও স্পেশাল চেকিং পরিচালিত হয়। ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে রেলওয়ের উভয়াঞ্চলে চেকিং কার্যক্রমের সংখ্যা ১ হাজার ৬৩৩টি, কেইস সংখ্যা ২লাখ ৯ হাজার ৩৪৬টি এবং আদায় করা ভাড়া ও জরিমানার পরিমাণ ৪ কোটি ৫৭ লাখ ১৭ হাজার ৩৮৯ টাকা। এছাড়া রেলপথ মন্ত্রণালয়ের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটরা বিনা টিকিটে ট্রেন ভ্রমণ প্রতি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন।

এমপি এম আবদুল লতিফের অপর এক প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী জানান, বর্তমানে রেলওয়ের ১২১টি স্টেশন সিগন্যাল কম্পিউটার বেইজ ইন্টারলকিং সিস্টেমে পরিচালিত হচ্ছে। দুর্ঘটনা পরিহারে যেকোনো জরুরি অবস্থায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে ট্রেন থামানোর জন্য অটোমেটিক ট্রেন স্টপ (এটিএস) প্রযুক্তি বাস্তবায়নের কাজ চলমান রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) জাতীয় সংসদে এমপি হাবিবুর রহমানের এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী এ তথ্য জানান। এসময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করছিলেন।

জিল্লুল হাকিম বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকিট সংগ্রহ প্রক্রিয়ায় জাতীয় পরিচয়পত্র/পাসপোর্ট/জন্মনিবন্ধন ভেরিফিকেশন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কাউন্টার অথবা অনলাইন/মোবাইল অ্যাপ যেকোনো মাধ্যম থেকে টিকিট কাটার ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র/পাসপোর্ট/জন্মনিবন্ধন সনদ যাচাই ব্যতিরেকে কোনো যাত্রীই টিকিট সংগ্রহ করতে পারে না। কাউন্টার অথবা অনলাইন/মোবাইল অ্যাপ যেকোনো মাধ্যম থেকে টিকিট সংগ্রহ করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সার্ভার থেকে যাত্রীর এনআইডি ভেরিফিকেশন করা হয় এবং ইস্যু করা টিকিটের উপর সংশ্লিষ্ট যাত্রীর এনআইডি নাম্বার ও নাম মুদ্রিত থাকে। যাত্রীর ক্রয় করা টিকিট যাতে হস্তান্তর না হয় সেজন্য চলন্ত ট্রেনে টিটিইরা টিকিটের উপর মুদ্রিত যাত্রীর নাম, মোবাইল নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্র/পাসপোর্ট/ জন্মনিবন্ধনের সঙ্গে যাত্রীর কাছে থাকা পরিচয়পত্র/জন্মনিবন্ধন নাম্বার ও যাত্রীর নাম মিলিয়ে দেখা হয়ে। যদি টিকিটের তথ্যের সাথে যাত্রীর কাছে থাকা পরিচয়পত্র/জন্মনিবন্ধন নাম্বার ও যাত্রীর নামে গরমিল পাওয়া যায়, তাহলে যাত্রীকে বিনা টিকিটের যাত্রী হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে ভাড়া জরিমানা আদায় করা হয়। 

এমপি সিদ্দিকুল আলমের অপর এক প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী জানান, বর্তমানে রেলওয়েতে ৩৫৩টি ট্রেন চলাচল করছে। এর মধ্যে আন্তঃনগর ১১২টি, আন্তঃদেশীয় ৬টি, মেইল, এক্সপ্রেস ও কমিউটার ১৩৪টি, লোকাল ৭৫টি, গুডস ও কনটেইনার ২৬টি।

এসআর/জেডএস