জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতে অটোমেশনে অগ্রাধিকার দিতে হবে
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অটোমেশন কার্যক্রম অগ্রাধিকার দিয়ে বাস্তবায়ন করতে হবে। দেশীয় জ্বালানির উৎপাদন ও অনুসন্ধান বাড়াতে কর্মকর্তাদের আরো আন্তরিকভাবে কাজ করার উপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন, তেল পরিবহনের জন্য পাইপলাইন হচ্ছে, আরো হবে।এগুলোর পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) ভার্চুয়ালি আয়োজিত এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের সবার দায়িত্ব। দেশে বিদ্যমান প্রায় ২ হাজার ২০০ পেট্রোল পাম্প নিয়মিত পরিদর্শন করা হয় না। ফলে কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে গ্রাহকরা বঞ্চিত হচ্ছে। তেলের অপচয় ও নিরাপদ পরিবহন নিশ্চিত করতে তেল পরিবহনের যানবাহনগুলোকে নিয়মিত অডিট করা উচিত। তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান কাজ কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে থাকলেও আরো দ্রুতদের সঙ্গে বেশি অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনা করা উচিত। প্রয়োজনে আরো রিগ ক্রয় বা ভাড়া নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে।
উল্লেখ্য, মে ২০২৪ পর্যন্ত জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের এডিপি বাস্তবায়নের হার ছিল ৯২.৪৫ শতাংশ। আর জাতীয় অগ্রগতি ৫৭.৫৪ শতাংশ।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. নূরুল আলম সভায় জানান, বিগত দুই বছরের মতো এ বছরও জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ শতভাগের বেশি এডিপি বাস্তবায়ন করবে।
সভায় প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করায় এবিভাগের সব কর্মকর্তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, প্রতিটি কাজেরই সিদ্ধান্ত দ্রুততার সঙ্গে নিতে হবে। প্রয়োজনে ওভার ল্যাপিং করে কাজ করলে দ্রুততার সঙ্গে সাফল্য পাওয়া যাবে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মো. আমিন উল আহসান, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার প্রমুখ।
ওএফএ/জেডএস