ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদ বলেছেন, কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নয়, আমাদের অভিযান অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রাজধানীর মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ এলাকার সাদেক অ্যাগ্রোতে অভিযান শেষে তিনি এ কথা বলেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, রামচন্দ্রপুর খালের দুই ধারে যারা অবৈধ দখলদার ছিল তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছি। খালের জমি পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর আগে এখান থেকে উত্তর সিটির মেয়র ট্রাক স্ট্যান্ড সরিয়েছেন, বহুতল ভবন ভেঙেছেন। এটা আমাদের নিয়মিত অভিযান। দখলদারদের বিরুদ্ধে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।

তিনি বলেন, সাদেক অ্যাগ্রোর মালিককে ঈদের আগেও আমরা নোটিশ দিয়েছি। অবৈধ স্থাপনা থাকলে সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। আমরা ঈদের আগে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করিনি। কারণ, এর ফলে বাজারে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হতো। আমরা এমনটা চাইনি বলে উচ্ছেদে যাইনি। সেই নোটিশের কোনো ব্যবস্থা নিইনি।

জমির মালিকের অভিযোগ, তিনি কোনো নোটিশ পাননি, তাহলে সাদিক অ্যাগ্রো ভাড়াটিয়া হিসেবে নোটিশ কীভাবে পায়? জানতে চাইলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, খালের একটা নীতিমালা আছে। খালের পানি প্রবাহের সীমানা থেকে ৩০ ফুটের ভেতরে কোনো স্থাপনা থাকতে পারবে না। জমির মালিক কাগজ দেখিয়েছেন ৪ শতাংশের কিন্তু দখল করেছেন এক বিঘা। আর আমরা উচ্ছেদ করছি অবৈধ স্থাপনা, জমির মালিককে নয়। খালের ভেতরে যে অংশ আছে, সেটা আমরা উচ্ছেদ করেছি।

উত্তর সিটি কর্পোরেশনের এ কর্মকর্তা বলেন, অভিযানে একজন জমির মালিক এসেছিল। সাদেক অ্যাগ্রোর মালিক বা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে কেউ আসেনি। আর সাদেক অ্যাগ্রোকে গত ১৮ জুন নোটিশ করা হয়েছে যেন খালে বর্জ্য না ফেলে। কিন্তু তারা কোনো সহযোগিতা করেনি। আমরা খালের অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করছি। এরপর আমরা খাল পরিষ্কার অভিযান চালাব।

ওএফএ/এসএসএইচ