উচ্চ পর্যায়ের সংলাপে বক্তারা
স্বল্পোন্নত দেশ হতে উত্তরণের জন্য পরিকল্পনা হতে হবে বাস্তবসম্মত
স্বল্পোন্নত দেশ হতে বাংলাদেশের উত্তরণের জন্য প্রণীত নীতি-কৌশল এবং সংশ্লিষ্ট কর্ম পরিকল্পনা কার্যক্রমভিত্তিক ও বাস্তবসম্মত হওয়া প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আয়োজিত উচ্চ পর্যায়ের সংলাপে সংশ্লিষ্ট অংশীজন ও নীতিনির্ধারকরা একথা বলেন।
বুধবার (২৬ জুন) ‘হাই লেভেল ডায়ালগ অন স্মুথ ট্রানজিশন স্ট্রাটেজি’ শীর্ষক সংলাপে তারা এই মন্তব্য করেন।
বিজ্ঞাপন
সংলাপে সভাপতিত্ব করেন, স্বল্পোন্নত দেশ হতে উত্তরণ সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। এতে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও শীর্ষস্থানীয় বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ হতে উত্তরণের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের জন্য অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে সুযোগ ও সম্ভাবনা তৈরি হবে। সেটি যথাযথভাবে কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে এই স্মুথ ট্রানজিশন স্ট্রাটেজি গুরুত্বপূর্ণ।
বৈঠকে অংশগ্রহণকারী নীতি নির্ধারক ও অংশীজনরা বলেন, স্মুথ ট্রানজিশন স্ট্রাটেজির খসড়াটি যথেষ্ট তথ্যবহুল ও মানসম্মত হয়েছে। তবে স্বল্পোন্নত দেশ হতে উত্তরণের প্রেক্ষাপটে এই কৌশলপত্রে অর্থনীতির কাঠামোগত রূপান্তর, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি,অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণ বৃদ্ধি, শুল্ক হার যৌক্তিকীকরণ প্রভৃতি বিষয়ে সুনির্দিষ্ট সুপারিশ থাকা প্রয়োজন।
কর্মশালায় স্মুথ ট্রানজিশন স্ট্রাটেজির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ের উপর আলোকপাত করে উপস্থাপনা প্রদান করেন এসটিএস সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক ড. এম এ রাজ্জাক।
আরও বক্তব্য রাখেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহ্রিয়ার কাদের ছিদ্দিকী, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম উদ্দিন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আশরাফ আহমেদ, বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতির সভাপতি আবদুল মুক্তাদিরসহ অন্যান্যরা।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ২০১৮ ও ২০২১ সালে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি (সিডিপি) এর ত্রিবার্ষিক পর্যালোচনা সভায় স্বল্পোন্নত দেশ হতে উত্তরণের সকল মানদণ্ড পূরণে সক্ষম হয়েছে। ফলে, পাঁচ বছর প্রস্তুতিকালীন সময় শেষে আগামী ২০২৬ সালের নভেম্বর মাসে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বেরিয়ে আসবে।
আরএইচটি/পিএইচ