প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান মডার্নার দুই ডোজের টিকা আনতে চায় দেশীয় অন্যতম ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান রেনেটা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। 

ইতোমধ্যে তারা অনুমোদনের জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতর বরাবর আবেদনও জমা দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে অধিদফতরের পক্ষ থেকেও ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে। তবে এর সংরক্ষণ নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

সোমবার (৩ মে) স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, রেনেটা কোম্পানি মডার্নার টিকা আনার জন্য আমাদের কাছে আবেদন করেছে। আমরা তা ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের কাছে পাঠিয়েছি। তারা সবকিছু দেখে সরকারের কাছে পাঠাবে। রেনেটা যদি চায়, আনতে পারে। আমরা সব ধরনের টিকা পেতে আগ্রহী।

তিনি বলেন, এই টিকা বাংলাদেশে আনা হলে তা মাইনাস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হবে। এ কারণে ঢাকায় রাখা হতে পারে। ঢাকার বাইরে এটা সংরক্ষণের ব্যবস্থা আমাদের এখনও নেই।

মডার্নার টিকার জন্য প্রয়োজন মাইনাস ৭০ থেকে ৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। টিকা আনতে মরিয়া রেনেটা ফার্মাসিউটিক্যাল জানিয়েছে, মডার্নার টিকা নিয়ে কিছু বিভ্রান্তি ছিল। এখন সেগুলো কেটে গেছে। 

জানতে চাইলে কোম্পানির একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমরা আবেদন করেছি। যেহেতু টিকাটি ডব্লিউএইচও স্বীকৃতি দিয়েছে, সেখানে কোনো সংশয় থাকার কথা নয়। যেখানে চীন ও রাশিয়ার টিকা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, সেখানে মডার্নার টিকা না দেওয়ার কোনো কারণ নেই।

ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর বলছে, আবেদন পেলেও এটির অনুমোদন দেওয়া হবে কি না তা নিয়ে এখনও আলোচনা হয়নি। এ প্রসঙ্গে অধিদফতরের সহকারী পরিচালক অজিউল্লাহ ঢাকা পোস্টকে বলেন, টিকা আনার ব্যাপারে রেনেটার একটা আবেদন এসেছে বলে জেনেছি। তবে এখনও এ ব্যাপারে আমাদের কিছুই জানানো হয়নি।

গত শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) মার্কিন ফার্মা মডার্নার দুই ডোজের টিকা অনুমোদন দেয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এই টিকার কার্যক্ষমতা প্রায় ৯৫ শতাংশ বলে দাবি করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এর কার্যকারিতা দুই বছর পর্যন্ত থাকবে বলেও দাবি তাদের। ২০২২ সালের মধ্যে তারা ৩০০ কোটি টিকা উৎপাদন করার পরিকল্পনা করেছে। ১৮ বছর বয়সীরাও এ টিকা নিতে পাবে বলে জানিয়েছে ডব্লিউএইচও।

টিআই/আরএইচ