১২ আষাঢ়ে যে বৃষ্টি ঝরবে তা আগেই জানিয়েছিল আবহাওয়া অফিস। সকাল পেরিয়ে বেলা গড়াতেই ঢাকা ভিজলো সেই বৃষ্টিতেই। আর ঢাকার আকাশ থেকে ঝড়া কিছুক্ষণের বৃষ্টিতেই ডুবলো ঢাকার বিভিন্ন সড়ক থেকে অলিগলি।

আজ (বুধবার) ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে ঢাকা পোস্টের প্রতিবেদকরা জানান, কিছুক্ষণের বৃষ্টিতে রাজধানীর আগারগাঁও থেকে জাহাঙ্গীর গেট যেতে নতুন রাস্তায়, খামারবাড়ি থেকে ফার্মগেট, ফার্মগেট-তেজগাঁও ট্রাক স্ট্যান্ড, মোহাম্মদপুরের কিছু অংশ, মেরুল বাড্ডা, ডিআইটি প্রজেক্ট এলাকায়, মালিবাগ, শান্তিনগর, সায়েদাবাদ, শনির আখড়া, পুরান ঢাকা, বংশাল, নাজিমুদ্দিন রোড, ধানমন্ডি, মিরপুর ১৩, হাতিরঝিলের কিছু অংশ,গুলশান লেকপাড় এলাকার সংযোগ সড়কসহ বিভিন্ন সড়ক ও অলিগলিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।

বেলা বাড়ার পর নামা বৃষ্টিতে ভোগান্তিতে পড়েছেন কাজে বের হওয়া রাজধানীর মানুষরা।  

বৃষ্টি শেষে কারওয়ান বাজার এলাকা থেকে হাতিরঝিল হয়ে গুলশান বাড্ডা লিঙ্ক রোডে সিএনজি যোগে আসেন বেসরকারি চাকরিজীবী মহব্বত আলী শাহ। তিনি বলেন, বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। সেই সঙ্গে গণপরিবহনও পাওয়া যাচ্ছিল না। ফলে সিএনজি যোগেই কাজে আসতে হলো। আসার পথে দেখলাম কারওয়ান বাজার, হাতিরঝিলের বিভিন্ন অংশ এবং এদিকে এসে গুলশান-বাড্ডা লিংক রোডের অংশ পানিতে ডুবে আছে। সিএনজি ভাড়াও প্রায় দ্বিগুণ দিয়ে আমাকে এখানে আসতে হলো।  

মোহাম্মদপুরের দিক থেকে আসা সিএনজি চালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন রাস্তায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে, সেই সঙ্গে জলাবদ্ধতা। অনেক সিএনজির ইঞ্জিনে পানি ঢুকে রাস্তার মধ্যে বন্ধ হয়ে আছে। মোহাম্মদপুর থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাস্তাতেই কম বেশি জলাবদ্ধতা আমি নিজে দেখে এসেছি। সেই সঙ্গে বৃষ্টি ছাড়ার পরপরই বিভিন্ন সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি আমরা সিএনজি চালকরাও ঢাকার জলাবদ্ধতার কারণে বিপদে আছি। জলাবদ্ধ সড়কে সিএনজি চালানো যাচ্ছে না। পানি না নেমে যাওয়া‌ পর্যন্ত কোনো ট্রিপ নিতে পারছি না। 

এএসএস/এনএফ