মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার সিমিন হোসেন (রিমি) বলেছেন, দোষী ব্যক্তিকে শনাক্ত করা, মিথ্যা অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া, মামলার প্রাথমিক পর্যায়ে থেকে বিচার প্রক্রিয়ার বিভিন্ন পর্যায়ে এবং বিচারোত্তর সত্য উদ্‌ঘাটনে ডিএনএ ল্যাবরেটরি ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। ডিএনএ ল্যাবরেটরিকে একটি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন  ল্যাবরেটরিতে পরিণত করা হবে।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) বেইলি রোডে অবস্থিত জাতীয় মহিলা সংস্থার সম্মেলন কক্ষে ডিএনএ ল্যাবরেটরি ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর কর্তৃক আয়োজিত ডিএনএ দিবস উদ্‌যাপন উপলক্ষ্যে সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন,১৯৮৬ সাল থেকে অপরাধ বিজ্ঞান ও অপরাধমূলক বিচার ব্যবস্থায় ডিএনএ প্রযুক্তি বা ডিএনএ ফিঙ্গারপ্রিন্ট একটি যুগান্তকারী সংযোজন। এটি বিচার ব্যবস্থাকে একটি নতুন যুগে উত্তরণ ঘটিয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, হত্যা বা ধর্ষণের মতো সহিংস অপরাধ দমন, পিতৃত্ব-মাতৃত্ব নির্ণয়, মৃত ব্যক্তির পরিচয় উদ্ধার, কিডনি দাতা- গ্রহীতার   সম্পর্ক নির্ণয়, প্রবাসীদের পারস্পরিক সম্পর্ক নির্ণয়, নারী পাচার ও অবৈধ অভিবাসী প্রতিরোধে ডিএনএ পরীক্ষাসহ প্রবাসী শ্রমিকদের লাশ দেশে আনার ক্ষেত্রে ডিএনএ ল্যাবরেটরী ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর কাজ করে যাচ্ছে।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, দেশব্যাপী এই সুবিধা ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে স্ক্রিনিং সুবিধা সম্পন্ন আটটি বিভাগীয় শহরে আটটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডিএনএ স্ক্রিনিং ল্যাবরেটরি স্থাপন হয়েছে। যেখান থেকে স্ক্রিনিং করা আলামত পরবর্তী পরীক্ষার জন্য ন্যাশনাল ফরেনসিক ডিএনএ প্রোফাইলিং ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে ডিএনএ প্রযুক্তির বহুবিধ ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ২০১৮ সালে ডি-অক্সিরাইবো নিউক্লিক অ্যাসিড (ডিএনএ) আইন, ২০১৪ পাস করা হয় এবং ২০১৮ সালে ডিএনএ বিধিমালা, ২০১৮ পাস করা হয়েছে।

এমএম/এমজে