সংগৃহীত ছবি

ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে ফারাক্কা চুক্তির নবায়ন ও তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি নিয়ে ঢাকা ও দিল্লির মধ্যে সমঝোতা হয়েছে। তবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির অভিযোগ, আন্তঃরাষ্ট্রীয় এ দুই ইস্যুর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পক্ষ পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারকে উপেক্ষা করে ঢাকার সঙ্গে সমঝোতা করেছে নয়াদিল্লি। বিষয়টি নিয়ে সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠিও দিয়েছেন মমতা। তবে সেই চিঠিটি ভারতের আভ্যন্তরীণ বিষয় বলে মনে করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এটি নিয়ে তার কিছু বলার নেই বলেও জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) বেলা ১১টার দিকে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী সাম্প্রতিক ভারত সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, মমতা ব্যানার্জি যে চিঠি তিনি তার দেশের প্রধানমন্ত্রীকে লিখেছেন, এটা তাদের আভ্যন্তরীণ ব্যাপার। এখানে আমার কিছু বলার নেই। এটা সম্পূর্ণ ভারতের আভ্যন্তরীণ ব্যাপার। এ ব্যাপারে আমাদের নাক গলানোর কোনো দরকার নেই। কিছু বলার দরকার নেই। আমার সঙ্গে সবার সম্পর্ক ভালো। মমতা ব্যানার্জির সঙ্গেও সম্পর্ক ভালো, আবার প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও। অন্যান্য সব দলের সঙ্গেও আমার সম্পর্ক ভালো। ভারতের দল মত নির্বিশেষে সবার সঙ্গে আমার একটা সুসম্পর্ক আছে।

তিনি বলেন, তিস্তা প্রজেক্ট কিন্তু আজকের না। আমার মনে হয় যুক্তফ্রন্টের সেই ২১ দফার মধ্যেও এটা ছিল। আমাদের আওয়ামী লীগের বিভিন্ন আলোচনার মধ্যে কিন্তু এটা ছিল যে তিস্তা প্রজেক্ট করতে হবে। সেই তিস্তা প্রজেক্ট করার জন্য ভারত সহযোগিতা করবে। আমাদের যৌথ কমিটি হবে। শুধু পানি ভাগাভাগি বিষয় না, গোটা তিস্তা নদীকে পুনর্জীবিত করে সেই উত্তরাঞ্চলে সেচের ব্যবস্থা করা, সেটাই আমরা করব।

সরকারপ্রধান বলেন, গঙ্গা পানি চুক্তির জন্য আলোচনা হবে, টেকনিক্যাল গ্রুপ আসবে দেখবে, তারপর এটা হবে। নীল নদীর ড্রেজিং করলেই পানি সমস্যার সমাধান হয়। আমরা আমাদের দেশে শুরু করেছি। নদীর ড্রেজিং করার কারণে বন্যা হলেও এখন আগের মতো ক্ষতি হয় না।  

এমএসআই/জেডএস