ছবি : সংগৃহীত

প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। সেইসব খবর থেকে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।

মানবপাচার নির্মূলের ন্যূনতম মান পুরোপুরি অর্জন করতে পারেনি বাংলাদেশ। তবে তা অর্জনে বাংলাদেশ সরকার উল্লেখযোগ্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। মানব পাচার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র দপ্তরের বার্ষিক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে।

এর পাশাপাশি অন্যান্য খবরগুলো দেখে আসি—

প্রথম আলো

মানবপাচার নির্মূলের ন্যূনতম মান পুরোপুরি অর্জন করেনি বাংলাদেশ

প্রতিবেদনে বলা হয়, মানবপাচার প্রতিরোধে বাংলাদেশ সরকার বিগত বছরের তুলনায় সামগ্রিকভাবে ক্রমবর্ধমান প্রচেষ্টা চালিয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান আগের দ্বিতীয় ধাপেই (টিয়ার-২) রয়ে গেছে। এই ধাপে বাংলাদেশের প্রতিবেশীদের মধ্যে রয়েছে ভারত, ভুটান ও শ্রীলঙ্কা। মানবপাচার নির্মূলে যেসব দেশ ন্যূনতম মানদণ্ড অর্জন করতে পারেনি, কিন্তু উল্লেখযোগ্যভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, সেগুলোকেই এই ধাপে রাখা হয়েছে।

কালবেলা

চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে নিঃস্ব হচ্ছে মানুষ

চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে গিয়ে নিঃস্ব হচ্ছে মানুষ। বছরান্তে বাড়ছে রোগীর ব্যয়ভার। প্রতিবেশী ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ ও মিয়ানমারের তুলনায় বাংলাদেশে রোগীর চিকিৎসা ব্যয়ভার বেশি।

মালদ্বীপে স্বাস্থ্যসেবার মাত্র ১৪ শতাংশ রোগীকে বহন করতে হয়। অথচ বাংলাদেশে একজন রোগীকে মোট ব্যয়ের ৭৩ শতাংশ বহন করতে হয়। এই ব্যয়ভার মেটাতে গিয়ে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তরা হিমশিম খাচ্ছে। বাধ্য হয়ে অনেকে মাঝপথে চিকিৎসা বন্ধ করে দিচ্ছে।

সমকাল

স্বপ্ন পূরণ করেছে পদ্মা সেতু

বিপুল খরচে নির্মিত পদ্মা সেতু লাভজনক হবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় আর নেই। দু’বছরে এ সেতু থেকে আদায় হয়েছে ১ হাজার ৬৪৫ কোটি ২৪ লাখ ৯৮ হাজার ১৫০ টাকার টোল। এ থেকে ১৫ শতাংশ মূসক (ভ্যাট) পেয়েছে সরকার। পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ ও ঋণের কিস্তির খরচের চেয়ে বেশি আয় হচ্ছে পদ্মা সেতুতে। সেতু বিভাগ বলছে, জাতির যে প্রত্যাশা ছিল, তা ছাড়িয়ে গেছে।

২০২২ সালের ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বহুল প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেন। এর মাধ্যমে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলা সড়কপথে যুক্ত হয় রাজধানী ঢাকার সঙ্গে। পরদিন ২৬ জুন থেকে চলছে যানবাহন। গত ২৩ জুন রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত সেতু দিয়ে ১ কোটি ২৪ লাখ ৫১ হাজার ৯৯৫টি গাড়ি পারাপার হয়েছে।

বণিক বার্তা

ঊর্ধ্বতন চাকরিজীবী ও গৃহিণীদের ব্যাংক হিসাব ফুলেফেঁপে উঠছে

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের (ফ্রিজ) আদেশ দেন আদালত।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধান বলছে, ফ্রিজ করার আগেই ৩৩টি ব্যাংক হিসাব থেকে প্রায় শত কোটি টাকা নগদে উত্তোলন করে সপরিবার দেশ ছেড়েছেন বেনজীর। আর এসব অর্থ ব্যাংকে জমা হয়েছিল গত এক দশকে। তিনি এ সময় র‌্যাব মহাপরিচালক ও পুলিশ মহাপরিদর্শকের মতো সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।

সমকাল

শীর্ষ ২০ ঋণখেলাপির কাছে ৩৫ হাজার কোটি টাকা

শীর্ষ ২০ ঋণখেলাপি প্রতিষ্ঠানের কাছে বিভিন্ন ব্যাংকের পাওনা প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা। এ তালিকায় ব্যাংক খাতের ঋণ জালিয়াতিতে আলোচিত সাদ মুসা গ্রুপ, এননটেক্স গ্রুপ, ক্রিসেন্ট গ্রুপ, মাইশা গ্রুপ, রতনপুর গ্রুপসহ বিভিন্ন গ্রুপের নাম রয়েছে। শীর্ষ খেলাপিদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ সরকারি মালিকানার জনতা এবং বেসরকারি মালিকানার ন্যাশনাল ব্যাংক। দুটি ব্যাংকের অবস্থা আগের চেয়ে অবনতি হয়েছে।

এদিকে ব্যাংকের শীর্ষ ঋণখেলাপি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রণয়নের কাজ চলছে বলে সংসদকে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। গতকাল আওয়ামী লীগদলীয় সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি ফরিদা ইয়াসমিনের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। গত বছরের জানুয়ারিতে সংসদে ব্যাংক খাতের শীর্ষ ২০ ঋণখেলাপির তালিকা প্রকাশ করেন তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

যুগান্তর

প্রতিমন্ত্রীর নামে খাসজমি

সরকারি খাসজমি দলিল করে মালিকানা নিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান এমপিসহ চারজন। প্রায় ২৬ বছর আগে চাঞ্চল্যকর এ দলিল সম্পাদনের পর জমি নিজেদের নামে নামজারিও করে নিয়েছেন। দিচ্ছেন খাজনাও।

তথ্যানুসন্ধান বলছে, আলোচিত ওই দলিলে উল্লেখ করা ২ একরের মধ্যে এক একর ২০ শতক জমির তথ্য-উপাত্তের সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল পাওয়া যায়নি। ভূমি কর্মকর্তারা বলেছেন, সঠিক তদন্ত হলে এ দলিল বাতিল হয়ে যাবে।

প্রথম আলো

দুর্যোগে বেশি বাস্তুচ্যুত হয় সিলেটের মানুষ

বিবিএস প্রকাশিত সর্বশেষ আর্থসামাজিক ও জনমিতিক জরিপ ২০২৩ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। জরিপে বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে মানুষের সাময়িক বাস্তুচ্যুতির চিত্র দেওয়া হয়েছে।

বিবিএস বলেছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে অনেক সময়েই মানুষ তার স্থায়ী বাসস্থান ছেড়ে সাময়িক সময়ের জন্য অন্য কোথাও আশ্রয় নেয় বা বসবাস করে। সাময়িক আশ্রয়ের ক্ষেত্রে বিবিএস তাঁবু টাঙিয়ে থাকা, অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নেওয়া কিংবা বিভিন্ন শরণার্থী ক্যাম্প বা শিবিরে অংশগ্রহণকে বুঝিয়েছে। ২০১৮ থেকে ২০২৩ সাল—এই পাঁচ বছরে এ ধরনের সাময়িক বাস্তুচ্যুতির হিসাব করেছে সংস্থাটি।

সমকাল

রিজার্ভ ছাড়া সব শর্ত পূরণ করেছে বাংলাদেশ

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বাংলাদেশের অনুকূলে তৃতীয় কিস্তি ছাড়ের অনুমোদনের দিনে কান্ট্রি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশ কান্ট্রি রিপোর্টে বলা হয়েছে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ ছাড়া বাকি সব শর্ত পূরণ করেছে বাংলাদেশ।

ওয়াশিংটনে আইএমএফের পর্ষদ সভায় তৃতীয় কিস্তির প্রায় ১১৫ কোট ডলার অনুমোদন হয়। এর মধ্যে এক্সটেন্ডেড ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি ও এক্সটেন্ডেড ফান্ড ফ্যাসিলিট ৯২ কোটি ৮০ লাখ ডলার এবং রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনিবিলিটি ফ্যাসিলিট ২২ কোটি ডলার। 

এছাড়া বড় দুর্নীতিবাজরা আতঙ্কে; মানবপাচার নির্মূল প্রচেষ্টায় ন্যূনতম মান নেই বাংলাদেশের; মতিউর ও তাঁর পরিবারের খোঁজ দেশে পাওয়া যাচ্ছে না, বিদেশ যেতে নিষেধাজ্ঞা; অনলাইন জুয়ায় আসক্ত ৫০ লাখ মানুষ আসছে বড় অভিযান; দুর্নীতিবাজের বিদেশ পাড়ি সমঝোতা নাকি অবহেলা; ‘শরীফার গল্প’ বাদ দেওয়ার নির্দেশ মন্ত্রণালয়ের—সংবাদগুলো বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।