ভারতের সঙ্গে ১০টি সমঝোতা স্মারকের নামে দেশবিরোধী চুক্তিতে সই করেছে সরকার। সেজন্য রাষ্ট্রব্যবস্থা সংস্কার করেই বাংলাদেশকে মানুষের দেশ বানাতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের নেতারা। 

রোববার (২৩ জুন) বিকেলে রাজধানীর তোপখানা রোডে মেহেরবা প্লাজায় দলের প্রধান কার্যালয়ে ২৬৮তম পলাশী দিবস উপলক্ষ্যে ‘দখল-লুটপাট-পাচারের সেকাল ও একাল’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম মামুন সঞ্চালনা এবং প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম সভাপতিত্ব করেন।

এসময় হাসনাত কাইয়ূম বলেন, ব্রিটিশদের লিগ্যাল সিস্টেমকে খুব ভালো বলে বাহবা দেওয়া হয়। কিন্তু সেটার মাধ্যমে আদতে কলোনিয়াল লিগ্যাল সিস্টেমকে বৈধতা দেওয়া হয়েছে। যেই লিগ্যাল সিস্টেম ছিল কলোনি চালানোর প্রধানতম হাতিয়ার। তাদের লিগ্যাল সিস্টেমের লিখিত রূপ ‘ভারত শাসন আইন’। যা পাকিস্তানের সংবিধান হয়ে বাংলাদেশের ‘৭২ সালের সংবিধান’ এর মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হয়। এই লিগ্যাল সিস্টেম ব্যবহার করেই এখানে আইনি পথে লুটপাট করা হয়। কলোনিয়াল সিস্টেম এখন মাফিয়া সিস্টেমে পরিণত হয়েছে।

সভায় জাতীয় নির্বাহী ও সমন্বয় কমিটির নেতারা বলেন, পলাশী দিবসকে সামনে রেখে ভারত-বাংলাদেশের ১০টি সমঝোতা স্মারকের নামে দেশবিরোধী চুক্তি করা হয়েছে।

নেতারা আরও বলেন, এই অর্থবছরে ৭ লাখ কোটি টাকার বাজেট দেওয়া হয়েছে। সেই বাজেটের প্রত্যেকটা টাকা হচ্ছে জনগণের রক্ত পানি করা ট্যাক্সের পয়সা। এই বাজেটের মাধ্যমে জনগণের টাকা এক জায়গায় করা হবে। যার বড় একটি অংশ সরকার বিভিন্ন প্রকল্পের নামে লুটপাট করবে। তার একটা বড় অংশ বিদেশে পাচার করবে। আর এসব করতে পারছে ব্রিটিশ কলোনির রেখে যাওয়া রাষ্ট্রব্যবস্থা, আইনকানুন ও ক্ষমতা কাঠামো ব্যবহার করে। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের ক্ষমতা কাঠামোর সংস্কার না করতে পারলে এই লুটপাট চলতেই থাকবে।

আলোচনা সভায় দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরাও অংশ নেন।

আরএইচটি/এসএসএইচ