মামলার তদন্তে সরেজমিনে পিবিআই কর্মকর্তা

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে (ডিএমপি) কর্মরত নুসরাত ইয়াছমিন তিসা নামে এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে জায়গা দখলের অভিযোগ করা হয়েছে আদালতে। 

এ ঘটনায় অভিযুক্ত সহকারী কমিশনার (এসি) নুসরাতসহ ৬ জনকে বিবাদী করে চট্টগ্রামের চিফ জুডিশিয়াল আদালতে একটি নালিশি মামলাও (সিআর) দায়ের হয়েছে। গত (২৭ মে) ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইনে মামলাটি দায়ের করেছেন মোহাম্মদ শফিউল আজম চৌধুরী নামে একজন। মামলার ঘটনার সময় দেখানো হয়েছে ৩ মে রাত ২টা থেকে ৫টা এবং ৫ মে রাত ৩টায়।

আদালত মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম জেলা ইউনিটকে। সম্প্রতি সংস্থাটি মামলার তদন্ত শুরু করলে বিষয়টি জানাজানি হয়। গত ১৩ জুন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পিবিআইয়ের একটি টিম। যদিও পুলিশ কর্মকর্তা বিবাদী হওয়ায় বিষয়টি তদন্তে অনেকটা গোপনীয়তা রক্ষা করতে দেখা যায় সংশ্লিষ্টদের। 

সিআর মামলার বিবাদী ডিএমপির এসি নুসরাতের গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলায়। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ছাত্রী ছিলেন। ৩৮ তম বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়ে তিনি পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন। রাজশাহীর সারদায় ট্রেনিং শেষ করে তিনি সম্প্রতি এসি পদে যোগ দিয়েছেন। 

যে মামলায় নুসরাতকে বিবাদী করা হয়েছে সেটিতে অন্যান্য বিবাদীরা হলেন- মো. শোয়েব আলম ওরফে আলভী, মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম চৌধুরী, ইসরাত জাহান ইয়াসমিন নিশা, মমতাজ বেগম ও ফাতেমা খাতুন জোহরা ওরফে মাইফুল। 

স্থানীয়ভাবে জানা গেছে, মামলার বাদী ও বিবাদীরা নিকটাত্মীয় ও প্রতিবেশী। তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, একই বংশের সম্পত্তি হওয়ায় সহজেই অভিযোগের সত্যতা নিরূপণ করা যাচ্ছে না। সার্ভেয়ার দিয়ে বিরোধপূর্ণ জায়গাটি পরিমাপ করা প্রয়োজন। একারণে আদালতের মাধ্যমে সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ের সার্ভেয়ারের প্রতিবেদন নেওয়া হবে। এরপর সিআর মামলার প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।

ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য ডিএমপির এসি নুসরাত ইয়াসমিন তিসাকে একাধিকবার ফোন করা হলে ব্যক্তিগত নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরে খুদে বার্তা পাঠিয়ে সাড়া পাওয়া যায়নি।

জানতে চাইলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পিবিআই চট্টগ্রাম জেলা ইউনিটে কর্মরত উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামাল আব্বাস ঢাকা পোস্টকে বলেন, আদালতে দায়ের হওয়া নালিশি মামলাটি তদন্ত করা হচ্ছে। সম্প্রতি আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বাদী-বিবাদীরা নিকটাত্মীয়। এজন্য আদালতের মাধ্যমে এসিল্যান্ড অফিসের সার্ভেয়ারের সহায়তায় জায়গা পরিমাপ করা হবে। তারপর বিস্তারিত জানা যাবে। এছাড়া তদন্তাধীন বিষয় মন্তব্য করা যাবে না।

এমআর/এসএম