বাংলাদেশ রেলওয়ের ১৩টি ডিপার্টমেন্টের সমন্বয়ে ট্রেন পরিচালনা করা হয়। ট্রেনের বিলম্ব কমাতে সব ডিপার্টমেন্ট কাজ করছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।

শনিবার (২২ জুন) ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের নিজ কক্ষে তিনি ঢাকা পোস্টকে এ কথা বলেন।

ঈদুল ফিতরের তুলনায় ঈদুল আজহায় ট্রেনের বিলম্ব বেশি কেন জানতে চাইলে মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, দুই একটি ট্রেন ছাড়া ঈদ যাত্রায় এত বিলম্ব হয়নি। ১৩টি ডিপার্টমেন্ট কাজের সমন্বয়ে ট্রেন পরিচালনা করা হয়। সবার নজর একদিকে ছিল, আর সেটি হচ্ছে ভালোভাবে ট্রেন পরিচালনা করা। বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব এবং পশ্চিমে নির্মাণ কাজ চলছে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন জায়গায় রেলের অবকাঠামো নির্মাণ কাজ চলছে। ফলে বিভিন্ন জায়গায় ট্রেনের গতি নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।

ঢাকা স্টেশন মাস্টার বলেন, ঈদ শেষে স্ব স্ব কর্মজীবী মানুষ কর্মস্থলে ফিরছে। এবার একটু দীর্ঘ ছুটি ছিল। বেসরকারি কর্মজীবী ও গার্মেন্টস কর্মীরা একটু দেরিতে ফিরছেন। আজ থেকে ঢাকামুখী যাত্রীদের চাপ বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছে। দু-একটি ছাড়া বেশিরভাগ ট্রেন নির্ধারিত সময় চলাচল করছে।

তিনি বলেন, যাত্রীদের কথা ভেবে একটু বিলম্ব হচ্ছে। ধরেন একটি ট্রেনের ১০টি স্টেশনে যাত্রা বিরতি আছে। কিন্তু অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে টিকিটধারী যাত্রীরা অনেক সময় উঠতে পারেন না। তারা তখন স্টেশন মাস্টারকে অবহিত করেন। সে ক্ষেত্রে অনুরোধে হয়ত প্রতিটি ট্রেন আরও দুই তিন মিনিট অপারেশনে বিলম্ব হয়। এছাড়া মেজর কোনও কারণ নেই বিলম্ব হওয়ার।

ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের সকাল ৯টার শিডিউল বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, চিলাহাটিগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস ভোর ৬টা ৪৫ মিনিটে ঢাকা স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সেটি বেশ বিলম্বে সকাল ৯টায় ঢাকা স্টেশন ছাড়ে। লালমনিরহাটগামী বুড়িমারী এক্সপ্রেস সকাল সাড়ে ৮টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও দেরিতে আসায় সেটি সকাল ১০টা পর্যন্ত ছেড়ে যায়নি। দেওয়ানগঞ্জগামী দেওয়ানগঞ্জ ঈদ স্পেশাল সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সেটি সকাল ১০টা পর্যন্ত ছেড়ে যায়নি।

এমএইচএন/পিএইচ