নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা মানুষগুলো ঈদুল আজহার ছুটি শেষে ফিরতে শুরু করেছেন তিলোত্তমা নগরীতে। যারা ট্রেনে ঢাকায় ফিরছেন, বিলম্ব যাত্রার ফলে তারা কিছুটা ভোগান্তি সঙ্গী করেই ফিরেছেন।  

শনিবার (২২ জুন) সকালে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম ঘুরে দেখা গেছে, হাজারো যাত্রীতে পূর্ণ হয়ে প্ল্যাটফর্মে থামছে ট্রেনগুলো। যাত্রীদের কারো কোলে ছোট্ট শিশু, কারো হাতে ব্যাগ। এভাবেই ছুটছেন প্ল্যাটফর্ম থেকে বের হওয়ার পথে। 

যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ফিরতি পথে ট্রেনগুলোতে প্রচণ্ড ভিড় ছিল। এছাড়া পথে পথে বিলম্ব করতে করতে ট্রেনগুলো মোট এক থেকে দুই ঘণ্টা পর্যন্ত বিলম্ব করেছে। 

লালমনিরহাট থেকে রওনা হয়ে বুড়িমারী এক্সপ্রেস (৮১০) ট্রেন সকাল নয়টার সময় চার নম্বর প্ল্যাটফর্মে এসে থামে। অথচ ট্রেনটি ঢাকায় পৌঁছার কথা ছিল সকাল সাতটায়।

গাইবান্ধা স্টেশন থেকে ট্রেনটিতে পরিবার নিয়ে উঠেছিলেন গোলাম সাকালাই। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, অনেক কষ্টে টিকিট সংগ্রহ করতে পেরেছি। রাতে ট্রেনে উঠার সময় সবই ঠিকঠাক ছিলো। বগুড়া ও সান্তাহারের পর থেকে ট্রেনে ভিড় বেড়ে যায়। অতিরিক্ত মানুষের চাপে ট্রেনে অসহ্য গরম সহ্য করতে হয়েছে। আর ট্রেনটি ঢাকায়ও এলো ২ ঘণ্টা দেরিতে।

ওই ট্রেনের আরেক যাত্রী শরিফুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব স্টেশন থেকে ট্রেনে উঠেছি। ট্রেনে ভিড় ছিল, দাঁড়িয়ে এসেছি। আগামীকাল থেকে অফিসে জয়েন করবো।

অপরদিকে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে সিডিউল বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, চিলাহাটিগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস ভোর ৬টা ৪৫ মিনিটে ঢাকা স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সেটি বিলম্বে সকাল ৯টায় স্টেশন ছাড়ে। লালমনিরহাটগামী বুড়িমারী এক্সপ্রেস সকাল সাড়ে ৮টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও দেরিতে আসায় সেটি এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ছেড়ে যায়নি। দেওয়ানগঞ্জগামী দেওয়ানগঞ্জ ঈদ স্পেশাল সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সেটি ছেড়ে যায়নি।

ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিভিন্ন জায়গা থেকে ট্রেনগুলো দেরিতে আসায় ট্রেনগুলো ঢাকা স্টেশন থেকে দেরিতে ছেড়ে যায়। ঢাকা স্টেশন থেকে আলাদাভাবে বিলম্বে ছেড়ে যাওয়ার কোনো কারণ নেই।

/এমএইচএন/এমএসএ