কোরবানির পশুর হাটে একটি খাসির ছবিসহ ভাইরাল হওয়া যুবক মুশফিকুর রহমান ইফাত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য এবং কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট আপিলাত ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট মতিউর রহমানের ছেলে নন। এমনকি ওই যুবকের সঙ্গে তার কোনো আত্মীয় সম্পর্কও নেই।

বুধবার (১৯ জুন) দুপুরে ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করে মতিউর রহমান বলেন, ইফাত নামের আমার কোনো ছেলে নেই। এমনকি আত্মীয় বা পরিচিতও নন। আমার একমাত্র ছেলে, তার নাম তৌফিকুর রহমান। একটি গোষ্ঠী আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে। আমি এ বিষয়ে পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের সহায়তা চেয়ে আইনি পদক্ষেপে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, সামাজিক মাধ্যমে আমার ছবি ও নাম ব্যবহার করায় আমি বিব্রত। আমি অবশ্যই আইনি পদক্ষেপে যাব।

মতিউর রহমান কর্মজীবনে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর, বৃহৎ করদাতা ইউনিট, ঢাকা বন্ড কমিশনারেট রাজধানীর বিভিন্ন কাস্টম হাউস, চট্টগ্রাম কাস্টমস, বেনাপোল কাস্টমস, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন পদে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন।

জানা যায়, ঢাকার মোহাম্মদপুরে অবস্থিত সাদিক অ্যাগ্রো থেকে ভাইরাল হওয়া সেই খাসির জন্য এক লাখ টাকা বুকিং দিলেও নিতে আসেননি এর ক্রেতা মুশফিকুর রহমান ইফাত নামের এক যুবক। গত ১২ জুন ডেলিভারি নেওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত ক্রেতা ইফাতের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি সাদিক অ্যাগ্রো কর্তৃপক্ষ। 

এ বিষয়ে সাদিক অ্যাগ্রোর মালিক মো. ইমরান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ইফাত নামের এক ক্রেতা আমাদের কাছ থেকে খাসিটি ১২ লাখ টাকায় কিনে নেন। আমরা খাসিটির দাম ১৫ লাখ টাকা চেয়েছিলাম। এক লাখ টাকা বুকিং দিয়েও তিনি খাসিটি আর নিতে আসেননি। সম্পূর্ণ টাকা আমাদের পরিশোধ করে খাসিটি নেওয়ার কথা ছিল ১২ জুন। আমরা ১১ জুন রাত থেকে ওই ক্রেতার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি। কিন্তু আমরা এখন পর্যন্ত তার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারিনি। আমরা এখনো তার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি। কিন্তু সে ফোন ধরছে না।

উল্লেখ্য, সাদিক অ্যাগ্রো বিটল প্রজাতির ওই খাসিটির দাম ১৫ লাখ টাকা চেয়েছিল। পরে ওই ক্রেতার সঙ্গে ১২ লাখ টাকায় বিক্রির চুক্তি হয় তাদের। তবে ‘বিশেষ একটি কারণে’ খাসিটির মূল্য ও এর ক্রেতাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার ‍সৃষ্টি হয়েছে। এনবিআর কর্মকর্তা মতিউর রহমানকে তার বাবা পরিচয় দিয়ে সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন স্ট্যাটাস দেওয়া হয়েছে।

আরএম/জেডএস