ফাইল ছবি

ঈদুল আজহার প্রথম দিনে রাজধানীতে পেশাদার কসাইয়ের অভাবে পশু কোরবানি করতে পারেননি অনেকে মুসল্লি। তবে আজ দিনে চাপ কমে যাওয়ার পর আগামীকাল (মঙ্গলবার) কসাই পাওয়া যাবে, এ আশায় পশু কোরবানি বন্ধ রেখেছেন অনেকেই।

সোমবার (১৭ জুন) সরেজমিনে রাজধানীর মোহাম্মদপুর, শ্যামলী ও কল্যাণপুর এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কসাই না পাওয়ার কারণে বিভিন্ন স্থানে কোরবানির পশুকে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। কোরবানির জন্য কেনা পশুগুলোকে গোসল করিয়ে পরিচ্ছন্ন করে জবাইয়ের জন্য প্রস্তুত করার পরও কসাই না পাওয়ায় কোরবানি করা যায়নি।

মোহাম্মদপুরের স্থানীয় বাসিন্দা মাহফুজ বলেন, গত দুদিন ধরে বিভিন্ন জায়গায় কসাইয়ের খোঁজ করেছি। কয়েকজনের সঙ্গে কথাও বলেছি, কিন্তু ঈদের দিন পারিশ্রমিক অনেক বেশি হওয়ায় পরের দুই দিন হাতে রেখেছি। সাধ্যের মধ্যে কোরবানির পশু কিনেছি তাই আশা করছি সাধ্যের মধ্যেই কসাই দিয়ে কোরবানি দিতে পারব।

কল্যানপুরের বাসিন্দা মিজান আহমেদও একই কথা বলেন। তিনি বলেন, পুরান ঢাকায় এমনিতেই কসাইয়ের ক্রাইসিস থাকে। ঈদের দিন তা আরো বেড়ে যায়। এই সুযোগে কসাইরা গরু প্রতি মূল্য বাড়িয়ে দেয়। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি ঈদের পর দিন কোরবানি দেব।

তবে চড়া মূল্যেই কসাইসহ ঈদের দিন কোরবানি দিচ্ছেন অনেকেই। টাউন হল এলাকার আরিফুর রহমান বলেন, ঈদের দিন কোরবানি দেওয়াতে বেশি আনন্দ। তাই ২০ হাজার টাকা দিয়ে কসাই নিয়ে কোরবানি দিচ্ছি। 

প্রসঙ্গত, সোমবার সকালে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ঈদের নামাজ শেষে পশু কোরবানি দিয়েছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। তবে ধর্মীয় রীতিতে আগামীকাল মঙ্গলবারও পশু কোরবানি দেওয়া যাবে।

ওএফএ/এমজে