বর্জ্য অপসারণে মাঠে সাড়ে ১৯ হাজার পরিচ্ছন্নতাকর্মী
এবারের ঈদে রাজধানীতে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ১৯ হাজার ৪৯৭ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মী প্রস্তুত রয়েছে। এরমধ্যে ঢাকা উত্তরের ১০ হাজার এবং দক্ষিণ সিটির ৯ হাজার ৪৯৭ জন।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম পশু কোরবানির ৬ ঘণ্টা এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণের ঘোষণা দিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
কোরবানি হওয়া পশুর রক্ত, বর্জ্য ও আবর্জনা অপসারণে ঈদের দিন ১০ হাজারের বেশি পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিয়োজিত থাকবে উত্তর সিটি কর্পোরেশনে। ডিএনসিসির মেয়র, কাউন্সিলর ও কর্মকর্তারা পুরো বিষয়টি তদারকি করবেন।
ঈদের দিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় কোরবানির পশুর মালিকদের বর্জ্য প্যাকেট করতে ৯ লাখ ৪০ হাজার পলিব্যাগ, ১ লাখ বায়োডিগ্রেডেবল পলিব্যাগ বিতরণ করা হয়েছে। একই সময় ২ হাজার ৬৮০ বস্তা ব্লিচিং পাউডার (২৫ কেজির বস্তা), ৯০০ ক্যান স্যাভলন (প্রতি ক্যান ৫ লিটার), ৭ হাজার টুকরি ও ১ হাজার ২৫০ লিটার ফিনাইল ব্যবহার হবে।
ডিএনসিসির ৫৪টি ওয়ার্ড থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করে আমিনবাজার ল্যান্ডফিল্ডে নেওয়ার জন্য ৮৫টি ডাম্প ট্রাক, ২১টি পে-লোডার, ১৮টি পানির গাড়ি, ২টি টায়ার ডোজার, ৫টি স্কিড লোডার, ১৪০টি পিকআপ ও ৪৫টি কনটেইনার ক্যারিয়ার ব্যবহার করা হবে।
এদিকে ঈদের দিন দুপুর ২টা থেকে বর্জ্য অপসারণের কাজ শুরু করবে ডিএসসিসি। এই সিটির ৭৫টি ওয়ার্ডে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে তাদের ৯ হাজার ৪৯৭ জন কর্মী কাজ করবেন। এর মধ্যে নিজস্ব জনবল ৪ হাজার ৯৯৭ জন, প্রাইমারি ওয়েস্ট কালেকশন সার্ভিস প্রোভাইডারের (পিসিএসপি) ৪ হাজার ৫০০ জন। সব মিলিয়ে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমে ৫৬০টি যান-যন্ত্রপাতি নিয়োজিত থাকবে।
বর্জ্য অপসারণের পাশাপাশি যেসব জায়গায় পশু কোরবানি করা হবে, সেখানে ৪০ টন ব্লিচিং পাউডার, ২২২ গ্যালন স্যাভলন ছিটানো হবে। এছাড়া বর্জ্যগুলো প্যাকেট করে রাখতে ১ লাখ ৪০ হাজার বায়োডিগ্রেডেবল ব্যাগ বিতরণ করা হবে বলে সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
এআর/জেডএস