চট্টগ্রামের চিরচেনা রূপ নেই। ব্যস্ততার নগরে নেই যানজট। সড়কে গাড়ির উপস্থিতিও তেমন নেই। গ্রামে পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে অনেকেই ছেড়েছেন শহর। নগরীর জামালখান, কাজীর দেউড়ি, আগ্রাবাদ, চকবাজার, দুই নম্বর গেইট, আন্দরকিল্লা, ইপিজেড এলাকায় তেমন যান চলাচল নেই। মাঝে ব্যক্তিগত গাড়ির দেখা মিলছে।

তবে বিভিন্ন স্টেশন-কাউন্টের দেখা গেছে ঘরমুখো মানুষের ভিড়। নগরীর বহদ্দারহাট এলাকায় বিভিন্ন বাসের কাউন্টারে দক্ষিণ চট্টগ্রাম, বান্দরবান ও কক্সবাজার জেলার মানুষের উপস্থিতি রয়েছে। তারা অপেক্ষা করছেন বাড়ি ফেরার। মানুষের চাপে কাউন্টারে টিকিটের সংকট দেখা গেছে। অনেকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও টিকিট পাচ্ছে না।

কক্সবাজারে যাওয়ার জন্য অপেক্ষায় থাকা রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘সকাল আটটা থেকে বাসের জন্য অপেক্ষা করে নয়টায় টিকিট পেয়েছি। তাও অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে। গাড়ি এখনও আসেনি। কখন বাড়ি যেতে পারবো জানি না।’

এস আলম পরিবহনের বাস চালক জিয়াবুল করিম বলেন, ‘কক্সবাজারের যাত্রী বেশি। তাই অগ্রিম টিকিট করেও সামাল দেওয়া যাচ্ছে না।’

সৌদিয়া কাউন্টারের টিকিট ম্যানেজার মো. ইসহাক জানান, ‘ঈদের সময় শহর থেকে যাত্রীর চাপ থাকলেও ফিরতি ট্রিপে যাত্রী পাওয়া যায় না। তাই ঈদের জন্য মালিকপক্ষ থেকে ভাড়ার একটি তালিকা তৈরি করে দেওয়া হয়। ওই তালিকা অনুযায়ীই ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। ভাড়া আগের চেয়ে কিছুটা বেশি নেওয়া হচ্ছে। তবে পরিমাণটা অনেক সামান্য।’

বাড়ি ফেরা যাত্রী গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘বাবা-মা গ্রামের বাড়িতে থাকেন। তাই প্রতিটি ঈদ মা-বাবার সঙ্গে গ্রামের বাড়িতে করার চেষ্টা থাকে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। কষ্ট হলেও যেতে হবে।’

আরএমএন/জেডএস