কুষ্টিয়া থেকে বেশ কয়েকটি গরু এনে টঙ্গী হাটে তুলেছেন ব্যাপারী সেলিম মিয়া। কিন্তু তার মধ্যে নজর কাড়ছে ফ্রিজিয়ান জাতের এক বিশালদেহী গরু। আনুমানিক ২০ মণ ওজনের গরুটির দাম হাঁকা হচ্ছে ৫ লাখ টাকা। হাটে আসা প্রত্যেক ক্রেতা একবার হলেও চোখ বুলাচ্ছেন গরুটির ওপর, জিজ্ঞেস করছেন দামও। তবে এখনো কাঙ্ক্ষিত ক্রেতার দেখা পায়নি গরুটি।

সেলিম মিয়া বলেন, আমার অন্য গরুগুলো ধীরে ধীরে বিক্রি হলেও এই গরুটা এখনো বিক্রি হচ্ছে না। কেউ কেউ ৩ লাখ, সর্বোচ্চ সাড়ে ৩ লাখ বলেছেন। কিন্তু তাতে আমার লস হয়। ঈদের আছে আর একদিন, আশা করছি এর মধ্যে বিক্রি করতে পারব।

মোহাম্মদপুর স্থানীয় হাটের চিত্র মূলত এ রকমই। বিশাল আকারের গরু আগ্রহ তৈরি করলেও মূলত বিক্রি হচ্ছে মাঝারি ও ছোট আকারের গরু। ১ থেকে ২ লাখের মধ্যে গরুর চাহিদা ও বিক্রি বেশি। এছাড়া ১ লাখের নিচের গরুও রয়েছে বিক্রির শীর্ষে।

৮০ হাজার টাকা দিয়ে গরু কিনে বাড়ি ফিরছিলেন ক্রেতা নাজমুল ইসলাম শুভ। তিনি বলেন, আসলে গরুর দাম তো আর আগের মতো নেই। ১ লাখ টাকা আগে এর চাইতে বড় গরু পাওয়া যেত। এখন বাজেটে মিলে গেল, তাই কিনে ফেললাম।

১ লাখ ৫২ হাজার টাকায় মাঝারি আকারের গরু কিনেছেন মেহেদি হাসান। তিনি বলেন, গত কয়েকবছর কোরবানি দেওয়া হয়নি, এবার দিচ্ছি। বাজারে গরুর দাম বাড়তির দিকেই, তাই যে যার বাজেটমতো গরু খুঁজছে।

বিক্রেতারা বলছেন, ক্রেতার তুলনায় এখনো বিক্রি-বাট্টা বাড়েনি। আশানুরূপ বিক্রি না হলে লসের মুখে পড়তে হবে।

ব্যবসায়ী আবুল কাশেম বলেন, হাটে গরু এনেছি ১২টি। এর মধ্যে বিক্রি হয়েছে ৫টি। ঈদের আর বাকি আছে একদিন। এর মধ্যে বিক্রি না বাড়লে তো লসে পড়ব।

আরেক ব্যাপারী রংপুর থেকে এনেছেন ১০টি গরু। তিনি বলেন, কাস্টমাররা এখনো ঘুরছে, কিন্তু কিনছে কম। কাল চাঁদরাত, আশা করছি এর মাঝে বিক্রি বাড়বে।

ওএফএ/এসকেডি