কোরবানির পশু কিনে ফেলেছেন অনেকেই। এখন অপেক্ষা করছেন পশু জবাইয়ের। আর তাই কাঠের খাইট্টা ও হোগলা কিনতে ব্যস্ত সময় পার করছেন অনেকে। ক্রেতাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে রাজধানীর বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে অস্থায়ী দোকান বসেছে খাইট্টা ও হোগলার। এছাড়া এসব দোকানে পাওয়া যাচ্ছে নেপিয়ার ঘাস ও খড়। 

শনিবার (১৫ জুন) রাজধানীর বাড্ডা, বাসাবো, আফতাবনগরসহ আশেপাশের এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। 

সরেজমিন দেখা যায়, রাজধানীর রামপুরায় ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির পাশের স'মিলগুলোতে সারি সারি সাজানো রয়েছে খাইট্টা। ওই স'মিলের পাশেই একই সারিতে বসেছে একাধিক অস্থায়ী দোকান। এসব দোকানে কোরবানির পশুর মাংস কাটা এবং রাখার জন্য হোগলা ও কাঠের খাইট্টা বিক্রির জন্য থরে থরে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। 

সিয়াম নামের এক বিক্রেতা বলেন, প্রতিটি বড় সাইজের খাইট্টা ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাঝারি সাইজের খাইট্টা ৩৫০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা এবং ছোট সাইজের খাইট্টা ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিকে প্রতি আঁটি খড় ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি আঁটি ঘাস ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 

রিয়াজ নামের এক বিক্রেতা জানান, দোকানে তেঁতুল, চাম্বল, রেইনট্রি, কড়ই, আম গাছের খাইট্টা রয়েছে। তেঁতুল গাছের খাইট্টা বেশি মজবুত হয়। তাই দামও একটু বেশি। 

তিনি বলেন, প্রতিবছর আমি খাইট্টা ব্যবসা করি। গ্রাম থেকে গাছ কিনে এনে এখানে স'মিলে কাটিয়ে খাইট্টা বানাই। এ বছর গাছের দাম এবং স'মিলের খরচ একটু বেশি বলেই খাইট্টার দামও বেশি। 

মোজাফফর নামের এক ক্রেতা বলেন, খাইট্টা দাম বাড়ানো হয়েছে। যে খাইট্টা গতবার ৩০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে সেটাই এখন ৫০০ টাকা চাইছে। সব কিছুতেই দাম বেশি। 

এমএম/জেডএস