আজমিরি খানম। তিনি বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষার্থী। গত ৫ জুন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে নিজের জাপানের ভিসাসহ পাসপোর্ট এবং গুরুত্বপূর্ণ কাগজ হারিয়ে ফেলেন। পরে বিষয়টি জানালে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে সবকিছু উদ্ধার করে আজমিরিকে ফেরত দেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

তিনি বলেন, ভুক্তভোগী ওই নারীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আমরা বিষয়টির সমাধান খুঁজে পাই। এরপর গতকাল বুধবার ডকুমেন্টসসহ ওই শিক্ষার্থীর কাছে আমরা তার হারিয়ে যাওয়া জাপানের ভিসাসহ কাগজপত্র ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করি।

মো. আসাদুজ্জামান বলেন বলেন, আমরা চেষ্টা করছি হাসপাতালের সব সমস্যার সমাধান করে আস্থার প্রতীক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে তার ঐতিহ্য ধরে রাখতে।

এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে পাসপোর্টসহ সব কাগজপত্র পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন ভুক্তভোগী আজমেরী খানম। তিনি বলেন, আমি সবেমাত্র বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করেছি। স্কলারশিপের জন্য গত ৫ জুন আমার পাসপোর্ট এবং গুরুত্বপূর্ণ কাগজ নিয়ে জাপান দূতাবাসে গিয়েছিলাম। সেখানে গরমে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে আমাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়। এ সময় একটি হুইলচেয়ারে করে আমাকে জরুরি বিভাগ থেকে ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়ার সময় হুইলচেয়ারের পকেটে আমার মূল ভিসাসহ পাসপোর্ট, মূল সনদসহ পেপারগুলো ফাইল রাখা ছিল। যা আমার কাছে রাখতে ভুলে যাই। আমি সুস্থ হলে ওই কাগজপত্রগুলো না পেয়ে অনেকটাই দিশেহারা হয়ে পড়ি।

তিনি আরও বলেন, আমার পাসপোর্ট এবং মূল্যবান ডকুমেন্টগুলো সময়মতো না পাওয়ায় আমার ১০ জুন জাপানে যাওয়ার যে ফ্লাইটি ছিল তা বাতিল হয়ে যায়। এ বিষয়ে থানায় একটি ডায়েরি করি। পরে থানা পুলিশ ঢামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানালে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আমাকে বহনকারী ওই হুইলচেয়ারের বাহককে শনাক্ত করেন। পরে ওই হুইলচেয়ারের বাহক এসে জানান তিনিও আমাকে অনেক খোঁজাখুজি করেছিলেন। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমার পাসপোর্টসহ মূল্যবান কাগজপত্র আমাকে ফেরত দেন। আমি ধন্যবাদ জানাই হাসপাতালের পরিচালকসহ সবাইকে।

এসএএ/এমএ