সমুদ্রপথে পণ্য পরিবহনের জন্য আরও একটি মাদার ভেসেল কিনেছে শিল্পগ্রুপ কেএসআরএম। এমভি নর্ড প্যাসিফিক নামের জাহাজটি কেনার পর নাম দেওয়া হয়েছে এমভি জাহান-ওয়ান। বর্তমানে জাহাজটি চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরের বহির্নোঙরে অবস্থান করছে।  

ঠিকঠাক মতো নিবন্ধনের বাকি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে এটি হবে বাংলাদেশের পতাকাবাহী শততম জাহাজ। এরইমধ্যে জাহাজটি নিবন্ধনের জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছে কেএসআরএমের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এসআর শিপিং। এটি এই কোম্পানির ২৪তম জাহাজ। 

জানা গেছে, কেএসআরএম কেনার আগে জাহাজটি পানামার পতাকাবাহী ছিল। বাঁশখালীর বিদ্যুৎকেন্দ্র এস এস পাওয়ার লিমিটেডের ৫৯ হাজার ৮০০ টন কয়লা নিয়ে জাহাজটি গত ২৬ মে ইন্দোনেশিয়ার মুয়ারা পান্তাই বন্দর থেকে রওনা দেয়। গত ৭ জুন জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছে। বর্তমানে জাহাজটি বন্দরের বহির্নোঙরে অবস্থান করছে। 

এসআর শিপিং জাহাজটির স্থায়ী নিবন্ধন পেতে আবেদন করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার (১২ জুন) নৌবাণিজ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জাহাজটি পরিদর্শন করেন। নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়া শেষে কয়েকদিনের মধ্যে জাহাজটি নিবন্ধন পেয়ে যাবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। 

কেএসআরএমের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, জাহাজটির দৈর্ঘ্য ২০০ মিটার ও প্রস্থ ৩২ মিটার। জাহাজের ড্রাফট (পানির ভেতরের অংশ) ৯ দশমিক ৬ মিটার। জাহাজের অপারেশনাল কাজ শুরু হয়েছে। জাহাজটি কয়লা নিয়ে ইন্দোনেশিয়া থেকে চট্টগ্রাম পৌঁছেছে। দুয়েকদিনের মধ্যে এটির রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শেষ হবে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এটি হবে বাংলাদেশের পতাকাবাহী শততম জাহাজ। 

এসআর শিপিংয়ের প্রধান নির্বাহী মেহেরুল করিম ঢাকা পোস্টকে বলেন, জাহাজটি পানামায় নিবন্ধিত ছিল। এটির মালিক ছিলেন জাপানের ব্যক্তি। এমভি জাহান-ওয়ানসহ এখন এসআর শিপিংয়ের মোট ২৪টি জাহাজ রয়েছে। শিগগিরই বহরে আরও একটি জাহাজ যুক্ত হতে যাচ্ছে। এটি হলে মোট জাহাজ হবে ২৫টি।

নৌবাণিজ্য অধিদপ্তরের প্রিন্সিপাল অফিসার ক্যাপ্টেন সাব্বির মাহমুদ বলেন, এমভি জাহান-ওয়ান স্থায়ী নিবন্ধন পেতে আবেদন করেছে। যথাযথ প্রক্রিয়া শেষে এটিকে নিবন্ধন দেওয়া হবে। এরপর এটি বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেতে পারবে।

এমআর/জেডএস