তিনদিন পরেই পবিত্র ঈদুল আজহা। কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাটগুলো। রাজধানীর অন্যতম বড় পশুর হাট শনির আখড়ায় দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে গরু, ছাগল, মহিষ নিয়ে এসেছেন খামারিরা। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ঘেঁষে, বর্ণমালা স্কুল রোড, শনির আখড়া, কাজলা, রায়েরবাগ সড়ক, শনির আখড়া-মৃধাবাড়ী সড়ক, শেখদী আব্দুল্লাহ মোল্লা স্কুল সড়কসহ এলাকার অলিগলিতে ছড়িয়ে পড়েছে হাট।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সকালে শনির আখড়া পশুর হাট ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। 

এখন পর্যন্ত শনির আখড়া পশুর হাটে ‘রাজা বাবু ’ও ‘কালো পাহাড়িয়া’ নামে দুটি বড় গরু সবার নজর কেড়েছে। উৎসুক জনতা গরু দুটি ঘিরে ভিড় করছেন।

কুষ্টিয়ার মিরপুরের খামারি শাহীন আলম। তিনি নিয়ে এসেছেন ‘রাজা বাবু’কে। দাম হাঁকাচ্ছেন ১২ লাখ টাকা। এই গরুর ১৮ মণ মাংস হবে বলে জানান তিনি।

খামারি শাহীন আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, গরুটা রাজার মত থাকে, একেবারে শান্ত। কোন নড়াচড়া করে না। এ কারণে রাজা বাবু নাম দিয়েছি। 

তিনি বলেন, দুবছর আগে এলাকার হাট থেকে লাখ টাকার বেশি দিয়ে গরুটা কিনেছিলাম। এখন রাজা বাবুর দাম ১২ লাখ টাকা চাচ্ছি। এ পর্যন্ত ৬ লাখ টাকা দাম উঠেছে। দাম সন্তোষজনক হলে আজ কালকের মধ্যে বিক্রি করে দেব। 

প্রতিদিন রাজা বাবুকে খাওয়াতে প্রায় ১ হাজার টাকার মতো খরচ হয় বলেও জানান তিনি।

সিরাজগঞ্জের কাজীপুরের খামারি কামাল হোসেন নিয়ে এসেছেন ‘কালো পাহাড়িয়া’ নামে একটি বিশাল আকারের গরু। এর দাম হাঁকাচ্ছেন ১০ লাখ টাকা।

খামারি কামাল হোসেন বলেন, আজকেই সিরাজগঞ্জ থেকে গরু নিয়ে এসে হাটে নামিয়েছি। গরুটা  কালো পাহাড়ের মত বলে নাম রেখেছি ‘কালো পাহাড়িয়া’।

তিনি বলেন, এই গরুর মাংস হবে ২০ মনের কাছাকাছি। আমরা দাম চাচ্ছি ১০ লাখ টাকা। এখন কাস্টমার দরদাম করে কিনতে পারবেন। ৬ মাস বয়সে  এলাকার হাট থেকে গরুটা কিনেছিলাম। আমরা দুবছর লালন পালন করেছি।

শনির আখড়া পশুর হাট পরিচালনা কমিটির অন্যতম সদস্য সৈয়দ হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে এই হাটে খামারিরা গরু নিয়ে এসেছেন। আজ থেকে গরু বিক্রি বাড়বে।

এমএইচডি/এমএসএ