রাজধানীর ভাটারা থানার একটি আবাসিক এলাকায় বাসার রান্নাঘরে বিস্ফোরণে চারজন দগ্ধ হওয়ার ঘটনায় আয়ান নামে তিন বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। 

বুধবার (১২ জুন) ভোর রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তার মৃত্যু হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেখ হাসিনা বার্নের আবাসিক সার্জন ডা. তরিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ভাটারা থেকে নারী-শিশুসহ চারজনকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। আজ ভোর রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশু আয়ানের মৃত্যু হয়। তার শরীরের ৭০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। 

বর্তমানে নিহত শিশুটির মা রকসি আক্তার (২০), তার বোন ফুতু (১৮) ও বাবা আব্দুল মান্নান (৬০) চিকিৎসাধীন আছেন।

এর আগে গত সোমবার (১০ জুন) রাত ১১টার দিকে দগ্ধ অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।

দগ্ধদের বাড়ি কক্সবাজারের মহেশখালী থানার মাইজপাড়া গ্রামে। তারা ভাটারা থানার একটি আবাসিক এলাকায় ভাড়া থাকেন।

ডা. তরিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, রকসি আক্তারের শরীরের ৫৫ শতাংশ, ফুতু আক্তারের শরীরের ৫৫ ও আব্দুল মান্নানের শরীরের ৫০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছেন। তাদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ভর্তি দেওয়া হয়েছে। তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

রকসির দেবর আহমেদ মোস্তফা বলেন, আমার ভাবীর ব্রেন টিউমার হয়েছিল। এজন্য চলতি মাসের ১ তারিখে সপরিবারে তারা গ্রাম থেকে ঢাকায় আসেন। পরে তারা একটি বাসা ভাড়া করেন। সেখান থেকে নিয়মিত এভারকেয়ার হাসপাতালে যাতায়াত করতেন। অস্ত্রোপচার করানোর পর ওই বাসায় রাখা হয়েছিল ভাবীকে।

তিনি বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় বাসার রান্নাঘরে বিকট শব্দে একটি বিস্ফোরণ ঘটে। এতে রুমে থাকা শিশুসহ চারজন দগ্ধ হন। পরে তাদের উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতাল নেওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে আনা হয়।

তিনি আরও বলেন, সম্ভবত রান্নাঘরে গ্যাস লিকেজ থেকে এ ঘটনা ঘটেছে।

এসএএ/এমএসএ