ঢাকায় উজবেকিস্তানের মিশন ও সরাসরি ফ্লাইট চায় বাংলাদেশ

ঢাকায় উজবেকিস্তানের মিশন খোলা এবং দেশটির সঙ্গে সরাসরি ফ্লাইট চালুর বিষয়ে অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১১ জুন) উজবেকিস্তানের রাজধানী তাসখন্দে পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের এক বৈঠকে এ অনুরোধ জানান পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ঢাকা-তাসখন্দের মধ্যে সরাসরি বিমান যোগাযোগ এবং ঢাকায় উজবেকিস্তানের মিশন খোলার বিষয়ে বিষয়ে অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানায়, তাসখন্দে অনুষ্ঠিত বৈঠকে দুদেশের দ্বি-পক্ষীয় সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। উভয়পক্ষ দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার জন্য উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক সফর বিনিময়ের ওপর বিশেষভাবে জোর দিয়েছে। এছাড়া টেক্সটাইল, ফার্মাসিউটিক্যাল ও কৃষি পণ্যের ক্ষেত্রে আরও ব্যবসায়িক সংযোগ স্থাপন এবং যৌথ উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে। তারা পর্যটন ও সাংস্কৃতিক সহযোগিতার মাধ্যমে জনগণের সঙ্গে যোগাযোগের ওপর জোর দেন।

মানুষে মানুষে যোগাযোগ, বাংলাদেশ ও উজবেকিস্তানের জনগণের মধ্যে ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও আধ্যাত্মিক সম্পর্কের কথা তুলে ধরে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব সহযোগিতার দিগন্ত বিস্তৃত করার ওপর জোর দেন। তিনি শিক্ষা, কর্মসংস্থান এবং সক্ষমতা বৃদ্ধির মতো নতুন ক্ষেত্রগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলেন।

সভায় তাসখন্দের পক্ষে নেতৃত্ব দেওয়া পররাষ্ট্রবিষয়ক উপমন্ত্রী বাখরোমজন আলয়েভ বাংলাদেশের সঙ্গে একযোগে কাজ করার বিষয়ে তার সরকারের প্রস্তুতির কথা তুলে ধরনে।

দ্বি-পক্ষীয় সহযোগিতায় গতি আনতে তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে গভীর ও ফলাফল ভিত্তিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে তার সরকারের দৃঢ় সংকল্প ও অঙ্গীকারের কথা জানান। তিনি বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক গুরুত্বের বিষয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাংলাদেশের সক্রিয় অংশগ্রহণের প্রশংসা করেন।

উভয়পক্ষ মিয়ানমারের পরিস্থিতি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং গাজার চলমান সংকট নিয়ে যার যার অবস্থান ব্যক্ত করেন।

সভার পর বাংলাদেশের ফরেন সার্ভিস একাডেমি এবং ইউনিভার্সিটি অব ওয়ার্ল্ড ইকোনমি অ্যান্ড কূটনীতি অব উজবেকিস্তানের কূটনৈতিক একাডেমির মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।

সভায় উজবেকিস্তানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ মনিরুল ইসলামসহ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা অংশ নেন।

এনআই/এমএসএ