ইয়াবা পাচারকারী দলের নেতা এলেন বিমানে, সাগরেদ পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেনে আর এসএ পরিবহনের কুরিয়ারে বাকি মাদকের চালান।

১২ হাজার পিস ইয়াবাসহ তিনকে গ্রেপ্তারের পর এ তথ্য জানিয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা মেট্রো (দক্ষিণ) কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সুব্রত সরকার শুভ জানান, কক্সবাজার থেকে ঢাকায় ইয়াবা পাচারকারী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক অভিযান পরিচালনা করে আসছে। বিশেষ করে ঢাকার বিভিন্ন প্রবেশপথে সার্বক্ষণিক টহল ও নজরদারি অব্যাহত আছে। এরই ধারাবাহিকতায় ঢাকা মেট্রো (দক্ষিণ) কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ মামুনের নির্দেশনায় সূত্রাপুর সার্কেলের পরিদর্শক চান মিয়ার নেতৃত্বে ঢাকা মেট্রো (দক্ষিণ) কার্যালয়ের একটি দল গত রোববার থেকে মঙ্গলবার তিনদিন মতিঝিল, বিমানবন্দর এবং মালিটোলা এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় পৃথক অভিযানে ১২ হাজার পিস ইয়াবাসহ পিস তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার হওয়া অভিযুক্তরা হলেন, ঢাকার দারুসসালামের মো. মোক্তার (৩৭),  টেকনাফের বাসিন্দা নুরুল হুদা (৩৮) ও বাগেরহাটের রনি শেখ (৩১)।

যেভাবে অভিযান

কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে ১২ হাজার পিস ইয়াবার একটি চালান ৩টি পৃথক মাধ্যমে ঢাকায় ঢোকার গোপন তথ্য পেয়ে নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়। গত রোববার সকালে মতিঝিল থানাধীন বাংলাদেশ ব্যাংক উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে কক্সবাজার থেকে পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেনে আসা মো. মোক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে শুঁটকির ব্যাগের ভেতর বিশেষ কৌশলে আনা চার হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এপিবিএন-১৩ এর সহযোগিতায় পরদিন সোমবার সকালে বিমানবন্দর ১নং টার্মিনালের সামনে থেকে নুরুল হুদাকে (৩৮) চার হাজার পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করা হয়।

মোক্তার ও নুরুল হুদার দেওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে আজ বিকেলে ঢাকার নবাবপুর মালিটোলা এলাকায় এসএ পরিবহন প্রা. লি. এ অভিযান চালানো হয়। এসময় পানির মোটরের ভেতর কৌশলে আনা ৪ হাজার পিস ইয়াবাসহ রনি শেখকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে সু্ব্রত সরকার বলেন, গ্রেপ্তার মোক্তার, নুরুল হুদা ও রনি শেখ একটি সংঘবদ্ধ ইয়াবা পাচার চক্রের সক্রিয় সদস্য। নুরুল হুদা চক্রের অন্যতম হোতা। তিনি বিমানে ইয়াবার একটি অংশ নিয়ে আসেন। তার সহযোগীরা ট্রেন ও কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবহার করে ইয়াবার বাকি চালান ঢাকায় পাঠায়। চালানটি ঢাকা ও বাগেরহাটে যাচ্ছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ (সংশোধিত ২০২০) এর সংশ্লিষ্ট ধারায় মতিঝিল ও বিমানবন্দর থানায় দুটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। বংশাল থানায় ১টি নিয়মিত মামলা দায়ের কার্যক্রম চলমান আছে। এই অপরাধের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড।  

জেইউ/এসকেডি