হাটের বর্জ্য ও কোরবানি উপলক্ষ্যে জবাইকৃত পশুর বর্জ্য এবার আলাদা আলাদা ব্যবস্থাপনায় অপসারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। 

মঙ্গলবার (১১ জুন) নগর ভবনের মেয়র হানিফ অডিটোরিয়ামে কোরবানিকৃত পশুর বর্জ্য ও অস্থায়ী পশুর হাটের বর্জ্য দ্রুততম সময়ে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত এক সমন্বয় সভায় তিনি এ তথ্য জানান।

মেয়র তাপস বলেন, আগের বছরগুলোতে ওয়ার্ডভিত্তিক কোরবানির পশুর বর্জ্য ও হাটের বর্জ্য একইসাথে অপসারণ করা হতো। দেখা যেত, একই যান-যন্ত্রপাতি ও জনবল দুই জায়গায় কাজ করছে। কিন্তু গত বছরগুলোর অভিজ্ঞতার আলোকে এবার আমরা নতুন কর্মপরিকল্পনা নিয়েছি। আপনাদেরকে আর হাটের বর্জ্য নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। আপনারা শুধু ওয়ার্ডভিত্তিক বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করবেন। প্রতিটি হাটের জন্য আমরা আলাদা আলাদা জনবল ও যান-যন্ত্রপাতি নিশ্চিত করেছি। 

ঈদের দ্বিতীয় দিনের মধ্যে কোরবানির কার্যক্রম শেষ করতে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করার আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, গত বছরগুলোতে আমরা ঢাকাবাসীকে ঈদের দ্বিতীয় দিনের মধ্যে কোরবানির পশু জবাই কার্যক্রম শেষ করার আহ্বান জানিয়েছি। সেই প্রেক্ষিতে আগের তুলনায় জনগণ এখন অনেকটাই উদ্বুদ্ধ হয়েছে, সচেতন হয়েছে। ঈদের তৃতীয় দিনের আগে যে পরিমাণ পশু কোরবানি দেওয়া হতো এখন তা অনেক কমে গিয়েছে। তাই দুই দিনের মধ্যে কোরবানি কার্যক্রম শেষ করতে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করার এই আহ্বান অব্যাহত রাখতে হবে।

প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাসিম আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামানসহ আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।

এএসএস/এমজে