অভিযুক্ত কনস্টেবল কাউসার আলী ও নিহত কনস্টেবল মনিরুল হক

রাজধানীর বারিধারা ডিপ্লোম্যাটিক জোনে ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান পুলিশ কনস্টেবল মনিরুল হক (২৭)। তাকে গুলি করে হত্যা করেন আরেক পুলিশ কনস্টেবল কাউসার আলী (৪১)। ভিকটিম মনিরুল হক ও ঘাতক কাউসার আলী ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে পুলিশ বক্সে দায়িত্বরত ছিলেন।

ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, শনিবার (৮ জুন) রাত ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে কাউসার আলী ও মনিরুল হক পুলিশ বক্সের সামনে অবস্থান করছিলেন। পরে তাদের মধ্যে কথা বলার দৃশ্য দেখা যায়। কথা বলার একপর্যায়ে কাউসার আলী পুলিশ বক্সের ভেতরে চলে যান। তখনও মনিরুল বক্সের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকেন। এর কিছুক্ষণ পর হঠাৎ কাউসার আলী মনিরুল হককে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মনিরুল মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে কাউসার আলী লুটিয়ে পড়া মনিরুল হকের সামনে এসে তাকে লক্ষ্য করে আরও কয়েক রাউন্ড গুলি করেন। এরপর ঘটনাস্থলে কাউসার আলীকে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।

এদিকে, নিহত মনিরুল হকের বড় ভাই পুলিশ কনস্টেবল মো. মাহাবুবুল হক (৪০) বাদী হয়ে গুলশান থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলার তথ্য অনুযায়ী, মনিরুল হকের বাড়ি নেত্রকোণার আটপাড়া থানা এলাকায়। আর ঘাতক কাউসার আলীর বাড়ি কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে।

মামলার এজাহারে মো. মাহাবুবুল হক অভিযোগ করে বলেন, আমার ছোট ভাই কনস্টেবল মো. মনিরুল হক ডিপ্লোম্যাটিক সিকিউরিটি বিভাগে কর্মরত ছিল। শনিবার (৮ জুন) রাত ৮টা থেকে পরদিন সকাল ৯টা পর্যন্ত বারিধারা ডিপ্লোম্যাটিক জোনে ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনের বক্সে সশস্ত্র অবস্থায় মনিরুল হক ও কনস্টেবল কাউছার আলী ডিউটিতে নিয়োজিত ছিল।

ডিউটিকালীন শনিবার রাত আনুমানিক ১১টা ৪৫ মিনিটে আমার ভাই মনিরুল হকের সঙ্গে কাউসার আলীর বাগবিতণ্ডা হয়। বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে মনিরুল হক কিছু বুঝে ওঠার আগেই কাওসার আলী তার অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মনিরুল ফিলিস্তিন দূতাবাসের পুলিশ বক্সের সামনে উপুড় হয়ে মাটিতে পড়ে যায় এবং মৃত্যুবরণ করে। ঘটনার সময় রাস্তার পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন জাপান দূতাবাসের গাড়িচালক সাজ্জাদ হোসেন। তিনিও কাউসার আলীর এলোপাতাড়ি গুলিতে আহত হন। তিনি বর্তমানে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পরে সংবাদ পেয়ে গুলশান থানার বেশ কয়েকটি টিম ঘটনাস্থল থেকে আসামি কাউসার আলীকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে ২২ রাউন্ড গুলি, একটি ম্যাগাজিন ও গুলির খোসা জব্দ করা হয়।

এজাহারে মনিরুলের ভাই উল্লেখ করেন, আমার ভাইয়ের মাথার বামপাশে একাধিক গুলির আঘাতে রক্তাক্ত জখম হয়, বাম চোখ গুলিবিদ্ধ হয়। নাক কান দিয়ে রক্ত বের হয়, বুক, পেট ও পিঠের বিভিন্নস্থানে বেশ কয়েকটি গুলির আঘাতে রক্তাক্ত জখমের চিহ্ন দেখা যায়। গুলশান থানা পুলিশ আমার ভাইয়ের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। কাউসার পুলিশ বাহিনীর একজন সদস্য হয়ে সশস্ত্র অবস্থায় ডিউটিকালীন সামান্য কারণে উত্তেজিত হয়ে আমার ভাইয়ের মৃত্যু ঘটানোর উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি গুলি করে।

মনিরুলকে গুলি করে কাউসার বলেন ‘শালা নাটক করছে’

জানা গেছে, মনিরুলকে গুলি করে ফিলিস্তিন দূতাবাসের প্রধান ফটকের সামনে এসে দাঁড়ান কাউসার। তখন প্রধান ফটকে দুই-তিনজন নিরাপত্তা রক্ষী ছিলেন। তারা গুলির শব্দ শুনতে পেলেও তখনো ধারণা করতে পারেননি কাউসার মনিরুলকে গুলি করে এসেছেন। কাউসারকে তারা জিজ্ঞেস করেন মনিরুল কেন রাস্তায় পড়ে রয়েছে। কাউসার উত্তরে বলেন, ‘শালা নাটক করতাছে, এমনি রাস্তায় পড়ে আছে।’

এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ফিলিস্তিন দূতাবাসের এক নিরাপত্তা রক্ষী বলেন, ‘ঘটনার সময় আমরা দূতাবাসের ভেতরে ছিলাম। হঠাৎ করে রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে ৭ থেকে ৮ রাউন্ড গুলির শব্দ শুনে আমরা বাইরে আসি। বাইরে আসার পর দেখি দূতাবাসের প্রধান ফটকের সামনে কাউসার দাঁড়িয়ে আছে। একটু দূরে পড়ে রয়েছে মনিরুলের মরদেহ। তখন আমরা কাউসারকে জিজ্ঞেস করি কী হয়েছে? সে বলে, শালা (মনিরুল) নাটক করতেছে, এমনি মাটিতে পড়ে রয়েছে। এই কথা বলে কাউসার দূতাবাসের বিপরীত পাশের রাস্তায় চলে যায়। এরই মধ্যে সবাই বুঝে উঠে যে কাউসার মনিরুলকে গুলি করেছে। এর পরপরই ঘটনাস্থলে থাকা নিরাপত্তা রক্ষীরা কাউসারকে আটক করে।’

৫-৬ দিন ধরে চুপচাপ ছিলেন ঘাতক কাউসার

ঘাতক কাউসার সম্পর্কে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত কয়েকদিন ধরে তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। গত ৫-৬ দিন ধরে তিনি কারো সঙ্গে ঠিকভাবে কথা বলতেন না। বলতে গেলে গত ৫-৬ দিন ধরে তিনি চুপচাপ ছিলেন। ঘটনা ঘটিয়েও তিনি ভারসাম্যহীন আচরণ করছিলেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, মনিরুলকে গুলি করে হত্যা করার পর কাউসার ঘটনাস্থলের আশপাশে ঘোরাফেরা করছিলেন। কিছুসময় তিনি দূতাবাসের সামনে বসে ছিলেন। তার ঘোরাফেরা ও আচরণ দেখে মনে হচ্ছিল তিনি মানসিকভাবে খুবই বিপর্যস্ত অবস্থায় আছেন।

ঘাতক কাউসার আলীর মানসিক অবস্থা নিয়ে ডিএমপির ডিপ্লোম্যাটিক সিকিউরিটি জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার আরিফুল ইসলাম সরকার বলেন, আমাদের প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে কাউসার আলী মানসিকভাবে বিপর্যস্ত অবস্থায় ছিলেন। প্রাথমিকভাবে আমরা আক্রমণকারী পুলিশ সদস্যের ব্যাপারে যতটুকু জেনেছি তিনি ৫-৬ দিন ধরে খুব চুপচাপ ছিলেন। তার অন্য সহকর্মীদের সঙ্গেও কথা বলছিলেন না। তার ব্যাচমেটদের সঙ্গে কথা বলে এসব জেনেছি।

তর্কাতর্কিতে উত্তেজিত হয়ে গুলি ছোড়েন কনস্টেবল কাউসার

নিহত কনস্টেবল মনিরুল হকের সঙ্গে অভিযুক্ত কনস্টেবল কাউসার আহমেদের তর্কাতর্কির ঘটনা ঘটে। তর্কাতর্কির পর উত্তেজিত হয়ে কনস্টেবল কাউসার সহকর্মী মনিরুলকে উদ্দেশ্য করে ৮-৯ রাউন্ড গুলি ছোড়েন।

রোববার (৯ জুন) দুপুরে ডিএমপি সদর দপ্তরে সাংবাদিকদের এ কথা জানান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপ্স) ড. খ. মহিদ উদ্দিন।

তিনি বলেন, দুই পুলিশ সদস্যের মধ্যে কোনো বিরোধ ছিল এমন তথ্য আমাদের কাছে নেই। কাউসারের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি কিন্তু বিরোধের কোনো তথ্য পাইনি। পাশাপাশি অভিযুক্ত কাউসারের গত এক-দুই মাসের ডিউটির রেকর্ড দেখেছি। রেকর্ডে দেখা গেছে কাউসার যথাযথভাবে ডিউটি করেছেন। গুলি করার আগে তাদের মধ্যে কী বিষয়ে তর্ক হয়েছিল এখনো তা নিশ্চিত হতে পারিনি আমরা। সেটি পরে তদন্তে জানা যাবে।

ডিএমপির এ কর্মকর্তা বলেন, আমার কাছে মনে হয়েছে অভিযুক্ত কনস্টেবল কাউসার আহমেদ মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। গুলি করেই তিনি হতভম্ব। এ কারণে অসংলগ্ন কথাবার্তা বলছিলেন তিনি- ‘এটা কীভাবে হয়ে গেল। আমি জানি না।’ প্রাথমিকভাবে দেখা গেছে ৮ থেকে ৯ রাউন্ড গুলি তিনি ছুড়েছেন। এর কম-বেশি হতে পারে।

‘অর্থাৎ নিজের সহকর্মীর সঙ্গে এ ধরনের ঘটনা ঘটার পর তিনি মানসিকভাবে নার্ভাস থাকেন। যে কারণে ঘটনা ঘটার পরও অস্ত্র রেখে কনস্টেবল কাউসার সেখানে হাঁটাহাঁটি করছিলেন। কারণ তিনি হয়ত স্ট্রেস নিতে পারছিলেন না। ঘটনার পর তিনি বুঝতে পেরেছেন হয়ত কত বড় অন্যায় ও অমানবিক কাজ করে ফেলেছেন। এক-দুদিন গেলে বোঝা যাবে গুলি করার কারণ।’

অতিরিক্ত ডিউটির কারণে কনস্টেবল কাউসার মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন কি না– এমন প্রশ্নের জবাবে ড. খ. মহিদ বলেন, না। ডিউটির কারণে কোনো সমস্যা তৈরি হয়নি। আর এখন কোথাও ডিউটির অতিরিক্ত চাপ নেই। স্বাভাবিকভাবেই ডিউটি করছেন সবাই।

সামগ্রিকভাবে পুলিশ সদস্যদের কাউন্সেলিংয়ের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হবে কি না– জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আমাদের কাউন্সেলিংয়ের সিস্টেম নেই। তবে আমাদের নিয়মিত ব্রিফিংগুলোতে কী করা যাবে, কী করা যাবে না সে সম্পর্কে বলা হয়। এটাও এক ধরনের কাউন্সেলিং।

ঘটনাস্থলের আশপাশে একাধিক দেশের দূতাবাস

সরেজমিনে দেখা যায়, কাউসার আলী যে জায়গায় মনিরুলকে গুলি করে হত্যা করেন সেটি বাংলাদেশের একটি অত্যন্ত নিরাপদ ও স্পর্শকাতর জায়গা। এখানে রয়েছে একাধিক রাষ্ট্রের দূতাবাস। ঘটনাটি ঘটে ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে। এর পাশে রয়েছে চীন ও জাপানের দূতাবাস। ঘটনাস্থল থেকে একটু দক্ষিণ দিকে এগোলে রয়েছে তুরস্ক, ফ্রান্স, সৌদি আরব, কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস। ঘটনাস্থলের উত্তর দিকে রয়েছে যুক্তরাজ্যের দূতাবাস। এমন একটি এলাকায় এ ধরনের ঘটনা ঘটায় কূটনৈতিক এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

কূটনৈতিক এলাকার নিরাপত্তায় কোনো ঘাটতি রয়েছে কি না– এমন প্রশ্ন করা হয় রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসা পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুনকে। জবাবে তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে আমাদের লোক ছিল, ঘটনা যে ঘটিয়েছে সেও আমাদের লোক। আসলে ঘটনাটা কী কারণে ঘটেছে সেটা আমরা জানার চেষ্টা করছি।

আইজিপি আরও যা বলেন

শনিবার দিবাগত রাত ২টায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আজ রাত ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে আমাদের দুইজন কনস্টেবল ডিউটিরত ছিলেন। এদের মধ্যে কনস্টেবল কাউসার আলীর গুলিতে কনস্টেবল মনিরুল হক ঘটনাস্থলে মারা যান। এ ঘটনায় জাপান দূতাবাসের গাড়ি চালক সাজ্জাদ হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। তিনি এখন ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সাজ্জাদ হোসেনের গায়ে তিন রাউন্ড গুলি লাগে। আক্রমণকারী কনস্টেবলকে থানায় নেওয়া হয়েছে এবং তাকে নিরস্ত্র করা হয়েছে। আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। মনিরুল হকের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে আমরা কিছু গুলির খোসা ও ২০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছি। এ ঘটনা আমরা তদন্ত করছি। এ ছাড়া প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রাথমিকভাবে হত্যাকাণ্ডের কারণ কী মনে হচ্ছে– জানতে চাইলে চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ঘটনার কারণ জানতে আমরা কনস্টেবল কাউসারকে জিজ্ঞাসাবাদ করব। জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব। জিজ্ঞাসাবাদে আমরা এ ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন করব। আক্রমণকারীকে আমরা ইতোমধ্যে আটক করেছি, ঘটনার প্রকৃত রহস্য জানাটা খুব কঠিন হবে না।

কাউসারকে কীভাবে আটক করা হয়– জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘটনার পর কাউসার তার অস্ত্রটা রেখে ঘটনাস্থলের আশপাশে ঘোরাফেরা করছিল। তখন তাকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়।

জাপান দূতাবাসের গাড়ি চালক কীভাবে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন– জানতে চাইলে পুলিশ প্রধান বলেন, তিনি পথচারী হিসেবে যাচ্ছিলেন, এসময় গুলিবিদ্ধ হন।

ডিপ্লোম্যাটিক এলাকায় একজন কনস্টেবলকে একদিনে ১৬ ঘণ্টা ডিউটি করতে হয়। এমন অতিরিক্ত ডিউটি করার কারণে অনেকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হচ্ছেন কি না বা কাউসার মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন কি না– জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা সবগুলো বিষয়ে তদন্ত করব।

এমএসি/এসএসএইচ