পবিত্র হজ পালনের জন্য সৌদি আরবে গেছেন ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান। শনিবার সকালে একটি ফ্লাইটে তিনি সৌদির উদ্দেশে রওয়ানা হন। রীতি অনুযায়ী, সৌদি সরকারের আমন্ত্রণে বাংলাদেশে ধর্মমন্ত্রী প্রতি বছর হজ পালন করতে যান।

সৌদির উদ্দেশে রওয়ানা হওয়ার আগে তিনি আশকোনা হজ ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। এরপর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, হজে পাঠানোর নামে যেসব হজ এজেন্সি প্রতারণা করেছে হজের পর তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেসব এজেন্সি অপকর্ম করেছে আগামীতে হজযাত্রীদের নেওয়ার ব্যাপারে তাদের লাইসেন্স নবায়ন করতে পারবে না। ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানার যে বিধান আছে অপরাধের ধরন অনুযায়ী ততটুকু শাস্তি দেওয়া হবে। এতে কোনো সন্দেহ নেই।

ধর্মমন্ত্রী বলেন, হজযাত্রীদের ভিসা করতে ভোগান্তি হয়েছে বলে অভিযোগ ছিল, আমরা কিন্তু কোনো ভোগান্তিতে পড়েনি। কোনো ভোগান্তি হয়নি। যখন ভোগান্তির কথা বলা হচ্ছে, সেই সময় ৮৭ শতাংশ ভিসা সম্পন্ন হয়ে গেছে।

ভারত, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া ও আমাদের দেশ থেকে সবচেয়ে বেশি মানুষ হজ করতে যাচ্ছেন উল্লেখ করে ধর্মমন্ত্রী বলেন, ভারত, পাকিস্তান ও ইন্দোনেশিয়ার ভিসা সম্পন্ন হওয়ার হার ছিল যথাক্রমে ৪৯ শতাংশ, ৫১ শতাংশ ৫৩ শতাংশ। কিন্তু বাংলাদেশের হার ছিল ৮৭ শতাংশ।

ফরিদুল হক খান বলেন, অন্যান্য দেশ, যাদের হজ নিবন্ধন কম ছিল তাদের ভিসা বন্ধ ছিল। বাংলাদেশের হজ যাত্রীদের ভিসা এক সেকেন্ডের জন্য বন্ধ হয়নি। দুটি ব্যাংকে জটিলতার কারণে কিছু সমস্যা হয়েছিল পরে এক দিনের মধ্যে সেই সমস্যার সমাধান করা হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, শনিবার পর্যন্ত ১৫ হাজার হজযাত্রী সৌদি যাওয়ার বাকি রয়েছে। আগামী ১২ জুনের মধ্যে বাকি হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছে যাবেন। অন্যবারের তুলনায় এবার হজযাত্রায় বড় ধরনের কোনো অব্যবস্থাপনা ছিল না।

এ বছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় গাইডসহ হজ পালনে সৌদি আরব যাবেন ৮৫ হাজার ২৫২ জন। এর মধ্যে সরকারিভাবে নিবন্ধন করেছেন ৪ হাজার ৫৬২ জন। আর বেসরকারিভাবে নিবন্ধন করেছেন ৮০ হাজার ৬৯৫ জন। প্রতি ৪৪ জনে একজন করে গাইড হিসেবে ১ হাজার ৮৯৯ জন হজযাত্রীদের সঙ্গে যাবেন।

হজ কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী এজেন্সির সংখ্যা ২৫৯টি। হজযাত্রীদের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট ২০ জুন আর শেষ ফিরতি ফ্লাইট ২২ জুলাই।

এনএম/এসকেডি