১৭ কোটি ৩৩ লাখ ৬৬ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ভোগ দখলে রাখার অভিযোগে খুলনা বিভাগ এলজিইডির সাবেক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী কাজী মিজানুর রহমান ও তার স্ত্রী কাজী বনানী রহমানের নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মূলত প্রকৌশলী স্বামীর অবৈধ আয়কে বৈধতা দিতে গিয়ে স্ত্রী দুর্নীতির আসামি হয়েছেন। সংস্থাটির যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালয় তাদের দুজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।

বুধবার (৫ জুন) দুদকের সহকারী পরিচালক ও মামলার বাদী আলিয়াজ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামি বনানীর নামে ৫৯টি দলিলে ১০ কোটি ৪৪ লাখ টাকার স্থাবর সম্পদ পাওয়া গেছে। সম্পদ বিবরণীতে আসামি বনানী ১৯ কোটি ৮১ লাখ ৫১৮২ টাকার সম্পদের ঘোষণা দেন। যার মধ্যে ১৭ কোটি ৩৩ লাখ ৬৬ হাজার ৬১৮ টাকার সম্পদের কোনো বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি।

এজাহারে আরও বলা হয়, আসামি কাজী বনানী রহমান একজন গৃহিনী ও স্বামীর ওপর নির্ভরশীল। তার স্বামী কাজী মিজানুর রহমান বিগত ১৯৮৯ সালের ৪ নভেম্বর উপজেলা প্রকৌশলী হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেন। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে পদোন্নতি পেয়ে তিনি “তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী” ও প্রকল্প পরিচালক “গুরুত্বপূর্ণ নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (২য় পর্যায়)” এর ঢাকার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের দায়িত্ব পালন করেন এবং সর্বশেষ অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি), খুলনা বিভাগ, খুলনা থেকে অবসরে যান।

দুদক জানায়, তার স্বামী সরকারি চাকরির বিভিন্ন পদে কর্মকালীন সময়ে অবৈধ ও অসদুপায়ে উপার্জিত আয় দিয়ে তিনি জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন মর্মে প্রতীয়মান হয়।

আরএম/এমএসএ