২৪ ঘণ্টায়ও উদ্ধার হয়নি ঢামেক থেকে চুরি যাওয়া নবজাতক
২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ২১২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে চুরি যাওয়া সেই নবজাতককে। চুরি যাওয়ার পর থেকে শিশুটি কেমন আছে, সেই চিন্তায় দিন পার করছেন তার বাবা-মা।
পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, নবজাতকটিকে উদ্ধারে এরই মধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে। দ্রুতই তাকে উদ্ধার করে বাবা-মার কোলে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
বিজ্ঞাপন
শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শাহ আলম বলেন, এ ঘটনায় নবজাতকের বাবা শরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে শাহবাগ থানা একটি মামলা করেছেন। ঘটনার পর থেকেই আমরা তদন্ত শুরু করেছি। এরই মধ্যে আমরা ওই ওয়ার্ডের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছি এবং সেটি যাচাই-বাছাই চলছে। ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত আপডেট দেওয়ার মতো আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। আমরা চেষ্টা করছি কীভাবে শিশুটিকে দ্রুত উদ্ধার করা যায়।
নবজাতকের বাবা শরিফুল ইসলাম বলেন, সোমবার রাতে সাভারের কালামপুর থেকে ঢাকা মেডিকেলে ২১২ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি হই। মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে আমার স্ত্রী সুখী আক্তার যমজ দুটি কন্যা সন্তান জন্ম দেন। আমার বড় ছেলের জ্বর আসে এবং পাশে থাকা এক নারী বলেন, আমার কাছে বাচ্চাটি দিয়ে আপনি বড় বাচ্চার জন্য ওষুধ নিয়ে আসেন। পরে আমি এক পাতা নাপা নিয়ে আবার ওয়ার্ডে ফিরে আসি। আমার মাকে জিজ্ঞেস করি বাচ্চা কোথায়? পরে দেখি যে নারীর কাছে আমি বাচ্চা দিয়েছিলাম সেই নারী আর নেই।
আরও পড়ুন
তিনি বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি আমরা আনসার সদস্য এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানাই। অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে যাচাই-বাছাই শুরু করে। রাতে আমি শাহবাগ থানায় গিয়ে একটি মামলা দায়ের করি। চুরি যাওয়ার ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও আমার বাচ্চাটাকে উদ্ধার করা যায়নি। আমার বাচ্চাটি কোথায় আছে, কী অবস্থায় আছে সেই চিন্তায় অস্থির হয়ে আছি। বাচ্চার কথা ভেবে আমার স্ত্রীও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
সিসিটিভি ফুটেছে দেখা যায়, হলুদ রঙের ওড়না ও কালো রঙের বোরকা পরা এক নারী ওই নবজাতককে কোলে করে নিয়ে আনসার সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে পালয়ে যান।
এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এসএএ/এসকেডি