নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহে প্রতিমন্ত্রী
আমাদের অনেক বাধা রয়েছে, তবুও নৌ নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছি
নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমাদের উন্নত প্রযুক্তি নেই, যার ফলে আমরা নদী পূর্ণ দূষণমুক্ত করতে পারিনি। ২০১৯ সালে আমরা একটি পদক্ষেপ নিয়েছিলাম কিন্তু করোনার কারণে সেটাও পিছিয়ে পড়েছিল। নৌ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমাদের অনেক বাধা রয়েছে, তবুও আমরা থেমে থাকিনি। নদীর নাব্যতা নিশ্চিত ও দূষণমুক্ত রাখতে কাজ করে যাচ্ছি।
মঙ্গলবার (৪ জুন) সকালে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে ‘দূষণমুক্ত নদী ও নিরাপদ নৌযান : স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে রাখবে অবদান’ প্রতিপাদ্যে নৌ পরিবহন সপ্তাহের উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় প্রতিমন্ত্রী নৌ পরিবহন সেবা সহায়িকার মোড়ক উন্মোচন করেন।
বিজ্ঞাপন
নৌপথের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও সচেতনতা বাড়াতে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও পালন করা হচ্ছে নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহ-২০২৪। এ বছর ৪-১০ জুন পর্যন্ত নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহ হিসেবে পালন করা হবে। নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহ উপলক্ষ্যে সপ্তাহব্যাপী নৌযান মালিক-শ্রমিকদের আলোচনা সভা, অভিযান পরিচালনাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন
অনুষ্ঠানে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, নদী হলো বাংলাদেশের প্রাণ। বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালে নদীর নাব্যতা নিয়ে কথা বলেছিলেন, এরপর ১৯৯৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন। এর মধ্যে কোনো সরকার দেশের নদী নিয়ে কোনো কথা বলেনি। প্রধানমন্ত্রী দেশের নদীগুলোর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে ড্রেজার মেশিনসহ যাবতীয় উপকরণ আমদানি করেছেন। আমরা আগের তুলনায় অনেক বেশি নদীর নাব্যতা ও দূষণমুক্ত রাখতে পেরেছি।
তিনি বলেন, আগে কলকারখানার বর্জ্য সরাসরি নদীতে মিশত, এখন আমরা সেগুলো অনেকটা নিয়ন্ত্রণে নিতে পেরেছি। প্রধানমন্ত্রী নদী নিয়ে ভাবছেন এবং কার্যকর পদক্ষেপের কথা বলছেন, যেগুলো কোনো সরকারপ্রধান আগে বলেননি। স্বাধীন দেশের মানুষকে স্বাধীনতার সুখ পৌঁছে দিতে এ সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
সভাপতির বক্তব্যে নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম বলেন, আমরা প্রতি বছরের ন্যায় এবারও নদী ড্রেজিং করতে যাচ্ছি। তাছাড়া নৌ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা, লাইফ জ্যাকেটসহ যাবতীয় সরঞ্জামের ব্যবস্থা, নাবিক-শ্রমিকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমরা প্রতি বছর ৫০০ নাবিককে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকি। তাছাড়া শর্ট কোর্সের মাধ্যমে অনেক নাবিককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টাই আমাদের নৌ দুর্ঘটনা কমিয়ে দিতে পারে এবং নিরাপদ নৌপথ নিশ্চিত করতে পারে। এসময় তিনি দুর্ঘটনা রোধে জাহাজ মালিক, নাবিক ও শ্রমিকদের আরও সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির সভাপতি মাহফুজুর রহমান, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল। এ ছাড়া বিআইডব্লিওটিসি চেয়ারম্যান অতিরিক্ত সচিব ড. এ কে এম মতিউর রহমান, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের চিফ ইঞ্জিনিয়ার মো. মঞ্জুরুল কবির, কোস্টাল সার্ভিসের পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মেহবুব কবির, অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল সংস্থার সভাপতি মাহবুব উদ্দিন আহমেদ, নৌ পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের পক্ষ থেকে জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ বক্তব্য দেন।
কেএইচ/এসএসএইচ