দেশে নিম্নমুখী ইন্টারনেট সেবায় গ্রাহক বিড়ম্বনা চরমে
বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, দেশে ইন্টারনেটের মান এতটাই নিম্নমুখী যে হোয়াটসঅ্যাপ-মেসেঞ্জারে কল, মেসেজ (বার্তা) এবং ডকুমেন্টস্ পাঠাতেও গ্রাহকদের বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে। আর বর্তমানে প্রচলিত অ্যাপস কলিংয়ের মান এবং অতিমাত্রায় বিজ্ঞাপনেও ৯৯ শতাংশ গ্রাহকই প্রচণ্ড বিরক্ত।
সোমবার (৩ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
এতে বলা হয়েছে, সময় ও চাহিদার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ইন্টারনেট ভিত্তিক অ্যাপসের মাধ্যমে কলিং ও মেসেজ এবং ডকুমেন্ট আদান-প্রদান। বাংলাদেশের বর্তমানে প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি অ্যাপসভিত্তিক ব্যবহারকারী রয়েছেন। চাহিদা বৃদ্ধির সাথে সাথে এসব অ্যাপসের মান এবং কল করার সময় বা শেষে বিজ্ঞাপনে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে দেশের প্রায় ৯৯ শতাংশ গ্রাহক।
সংগঠনটির করা এক পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনের তথ্য উল্লেখ করে বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, প্রবাসী এবং প্রান্তিক ব্যবহারকারী জনগোষ্ঠীর কাছে সবচাইতে জনপ্রিয় অ্যাপস হচ্ছে ইমু। কারণ এটি ব্যবহার করতে প্রয়োজন হয় না থ্রিজি বা ফোরজি ইন্টারনেট। মাত্র টুজি ইন্টারনেট ব্যবহার করেই ইমু অ্যাপস ব্যবহার করা যাচ্ছে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এই অ্যাপসে প্রচুর অনাকাঙ্ক্ষিত বিজ্ঞাপন আসে। অন্যদিকে গুরুত্বপূর্ণ অ্যাপস হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করতে প্রয়োজন হয় দ্রুতগতির ফোরজি ইন্টারনেট। কিন্তু দেশের ইন্টারনেটের সেবার মান খুবই নিম্নমুখী। ফলে হোয়াটসঅ্যাপে কল করতে এবং মেসেজ ও ডকুমেন্টস্ পাঠাতে গ্রাহকরা বিড়ম্বনার সম্মুখীন হচ্ছেন।
মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের কাছে প্রায় তিন শতাধিক গ্রাহক এসব বিষয়ে অভিযোগ করেছেন। গ্রাহকরা বলছেন, অনেক সময় একাধিকবার কল দেওয়ার পর সংযোগ পাওয়া যায়, আবার সংযোগ পাওয়ার পর দেখা যায় অপর প্রান্ত থেকে কথা শোনা যাচ্ছে না। কিংবা অপর প্রান্ত থাকা ব্যক্তি কথা শুনতে পাচ্ছেন না। আবার এক মিনিটের একটি ভিডিও বা পিডিএফ ফাইল পাঠাতেও বেশ ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
এসব সমস্যা থেকে পরিত্রাণের জন্য রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, বর্তমান চাহিদা ও প্রয়োজনে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের অ্যাপস ‘আলাপ’কে ইমুর আদলে সক্ষমতা বাড়াতে হবে। যার মাধ্যমে নিরবচ্ছিন্ন কলিং, ফাইল আদান-প্রদান এবং ক্যাশলেস লেনদেন করা সম্ভব হবে। এতে করে রাষ্ট্রও রাজস্ব পাবে এবং জনগণও সর্বোচ্চ সেবা গ্রহণ করতে পারবে।
আরএইচটি/এমএ