বায়ুদূষণ রোধে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম পাঁচটি ঘোষণা দিয়েছেন। 

তিনি বলেছেন, বায়ুদূষণ রোধে ৫টি ঘোষণায় ধূলাবাহিত বায়ুদূষণ রোধকল্পে নির্মাণস্থলে আচ্ছাদন ব্যবহার করা, বায়ুবাহিত সূক্ষ্ম কণা ছড়িয়ে দেয় এমন উপকরণ বহনকারী যানবাহনের জন্য উপযুক্ত আচ্ছাদন ব্যবহার নিশ্চিত করা, কালো ধোঁয়া নির্গমন হয় এমন অনুপযুক্ত যানবাহন নিষিদ্ধ করা, অপ্রয়োজনীয় পাতা এবং বর্জ্য পোড়ানো পরিহার করা, নালা ও খালের অবৈধ পয়ঃনিষ্কাশন লাইন বন্ধ করা।

সোমবার (০৩ জুন) রাজধানীর শেরাটন হোটেলে শক্তি ফাউন্ডেশন এবং ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএআইডি) এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘সেভ ইয়োর ব্রেথ : পলিসি ডায়ালগ অন ক্লিন এয়ার ইমপারেটিভস’ শীর্ষক নীতিনির্ধারণী সংলাপে এ ঘোষণা দেন তিনি।

বায়ুর গুণমান উন্নতকরণে তথ্য-ভিত্তিক সমাধান এবং তার যথাযথ প্রয়োগের ওপর গুরুত্ব আরোপের লক্ষ্যে ইউএসএআইডি এবং শক্তি ফাউন্ডেশন যৌথভাবে এই সংলাপের আয়োজন করে।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, শহরের পরিবেশ রক্ষায় সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। বিভিন্ন সংস্থা সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। গুলশান ও বারিধারা এলাকায় একটি সার্ভে করেছিলাম। বেশিরভাগ ভবনে সঠিক স্যানিটেশন ব্যবস্থা নেই। অভিজাত এলাকায় পয়ঃবর্জ্যের অবৈধ সংযোগ সিটি কর্পোরেশনের সারফেস ড্রেনে দিয়ে দূষণ করছে। গুলশান ও বারিধারা খালের পানি দূষিত। মাছের চাষ করা যায় না। সেখানে মশার চাষ হচ্ছে।

মেয়র আরও বলেন, শহরের প্রায় সব ভবনেই এয়ার কন্ডিশন (শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র) লাগানো আছে। সবাই হাজার হাজার টাকা খরচ করে ঘর ঠান্ডা করার জন্য এসি লাগাচ্ছে সবাই কিন্তু অনসাইটে সুয়ারেজ ব্যবস্থাপনা করা বিষয় কেউ চিন্তা করছে না। নির্বিচারে শহরের খালে, ড্রেনে সুয়ারেজের সংযোগ দিয়ে পানি, বায়ু দূষণ করছে। এগুলো বন্ধ করতে হবে। এসব অবৈধ সংযোগ বন্ধে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেব।

শরীয়তপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাকের সঞ্চালনায় সংলাপে আরও অংশ নেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সিদ্দিকুর রহমান সরকার, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক ড. আকতার মাহমুদ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) পরিচালক মো. লোকমান হোসেন মোল্লা প্রমুখ।

এএসএস/জেডএস