দূষণ নিয়ন্ত্রণে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে : পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, বায়ূদূষণের কারণে মানুষ শারীরিক ক্ষতির পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই প্রত্যেক নাগরিককে নিজ নিজ জায়গা থেকে দূষণ নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে হবে। কারণ আমরা বিভিন্নভাবে শব্দদূষণ বা বায়ুদূষণ করছি, যার প্রভাব ফেলছে অন্যজনের স্বাস্থ্যে।
সোমবার (০৩ জুন) রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে আয়োজিত ‘সেভ ইয়োর ব্রেথ : পলিসি ডায়ালগ অন ক্লিন এয়ার ইমপারেটিভস’ শীর্ষক এক সেমিনারে পরিবেশমন্ত্রী এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, বর্তমানে সরকার বিকল্প জ্বালানি ব্যবস্থা যাওযার পরিকল্পনাও করছে। বায়ু ও পরিবেশ দূষণ মোকাবিলায় আইনের যথাযথ প্রয়োগে সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষকে এগিয়ে আসতে হবে।
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, বায়ুদূষণ কোনো একটি দেশের সমস্যা নয়-এটি একটি আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সমস্যা। তাই এ সমস্যা মোকাবিলায় ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে দক্ষিণ এশীয় পর্যায়ে আঞ্চলিক সহযোগিতা ও সমন্বয় প্রয়োজন। কারণ এক দেশের বায়ুদূষণের প্রভাব পড়ছে অন্য দেশের ওপর। এছাড়া, বায়ুদূষণ রোধে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর পাশাপাশি সব পক্ষের সমন্বিত পদক্ষেপ জরুরি।
অনুষ্ঠানে ঢাকার বায়ুদূষণের ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুস সালাম। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ক্লাইমেট পার্লামেন্টের আহ্বায়ক ও সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক, ইউএনডিপি বাংলাদেশের রেসিডেন্ট রিপ্রেজেনটেটিভ স্টেফান লিলার, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সভাপতি আদিল মোহাম্মদ খান, ইউএসএইড এশিয়া ব্যুরোর ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেটর অঞ্জলি কাউর এবং শক্তি ফাউন্ডেশনের ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ইমরান আহমেদ প্রমুখ।
এসএইচআর/জেডএস