চলতি বছরের মে মাসে ১১০ কন্যাশিশুসহ ২৪৩ জন নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত মে মাসে ১১০ জন কন্যাশিশু এবং ১৩৩ জন নারী নির্যাতনের শিকার হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৪০ জন কন্যাশিশুসহ ৬২ জন। তারমধ্যে ১২ জন কন্যাশিশুসহ ২০ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে, ২ জন কন্যাশিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে, ১ জন ধর্ষণের কারণে আত্মহত্যা করেছে। এছাড়াও ৩ জন কন্যাশিশুসহ ৭ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে।

যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে ২২ কন্যাশিশুসহ ২৩ জন। উত্ত্যক্তকরণের শিকার হয়েছে ৬ কন্যাশিশুসহ ৭ জন, এরমধ্যে এক কন্যাশিশু উত্ত্যক্তকরণের কারণে আত্মহত্যা করেছে। নারী ও শিশু পাচারের ঘটনা ঘটেছে ২টি। অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছে ২ জন, এরমেধ্য ১ জনের অগ্নিদগ্ধের কারণে মৃত্যুর হয়েছে। যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৫ জন, এরমধ্যে ২ জনকে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১১ জন, এরমধ্যে ২ জন কন্যাশিশু। পারিবারিক সহিংসতায় শারীরিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ৩ টি। ১ জন কন্যা গৃহকর্মী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে।

বিভিন্ন কারণে ৭ কন্যাশিশুসহ ৪৬ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়াও ৪ জনকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। ৩ কন্যাশিশুসহ ২২ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। ৫ কন্যাশিশুসহ ২০ জনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে, এরমধ্যে ১ জন কন্যাশিশু আত্মহত্যার প্ররোচনার শিকার হয়েছে। 

৩ জন কন্যাশিশুসহ ৪ জন অপহরণের ঘটনার শিকার হয়েছে। এছাড়াও ১ জন কন্যাশিশুকে অপহরণ চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। ৩ জন কন্যাশিশুসহ ৪ জন সাইবার ক্রাইমের ঘটনার শিকার হয়েছে।

বাল্যবিবাহের ঘটনা ঘটেছে ২টি। বাল্যবিবাহের ঘটনা প্রতিরোধ করা হয়েছে ৫টি। এছাড়া ৫ জন কন্যাশিশুসহ ১২ জন বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে।

জেইউ/পিএইচ