ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, এমন একটি সংসদ পেয়েছি যেটা হচ্ছে ক্ষমতাসীন দলের একচ্ছত্র ভুবন। সেখানে বিরোধী দল নেই। এদের মধ্যে বিশাল সংখ্যক ব্যবসায়ী রয়েছে। এই সংসদ কতটুকু কার্যকর হবে, জনকল্যাণমূলক হবে, ব্যবসায়িক স্বার্থের দ্বন্দ্বমুক্ত হবে তা আমরা পাঁচ বছর পর্যবেক্ষণ করব।

রোববার (২ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

ইফতেখারুজ্জামান বলেন, নির্বাচন কেন্দ্রিক জাতির যে প্রত্যাশা, সেই জায়গায় আমরাও একই নৌকার যাত্রী। ইসি বলছে, তারাও সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায়। নিরপেক্ষ নির্বাচন হোক সেটা চায়। আমরাও সেটা চাই। এ কারণে আমরা উভয়পক্ষই মনে করছি, আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য একই রকম। তবে আমাদের কাজের পদ্ধতিতে পার্থক্য আছে এবং আমাদের ক্ষমতা ও এখতিয়ারেও পার্থক্য আছে। আমরা চাহিদা সৃষ্টিকারী প্রতিষ্ঠান। নির্বাচন কমিশন ডেলিভারি দেওয়ার মতো প্রতিষ্ঠান। তবে উভয়পক্ষের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য যেহেতু এক, তাই আমরা নিজেদের সহযোগী মনে করছি। এই আলোচনা অব্যাহত থাকবে।

তিনি বলেন, আমরা বলেছি নির্বাচনী ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো দরকার। এ বিষয়ে কমিশন একমত হয়েছে। কমিশন তার এখতিয়ারের মধ্যে দায়িত্ব পালন করেছে। তবে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড সৃষ্টিতে ব্যর্থতা ছিল।

টিআইবি নির্বাহী পরিচালক বলেন, সাংবিধানিক কারণে নির্বাচনকালীন সরকার আগের ব্যবস্থায় ফিরে যেতে পারবে না। তবে নির্বাচনকালীন সরকার এমন হতে হবে যেখানে স্বার্থ থাকবে না এবং সমান সুযোগ প্রতিষ্ঠা পাবে। এজন্য সবচেয়ে ভালো ভূমিকা পালন করতে পারবে দলগুলো। যদি সবগুলো দল অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন না চায়, তবে জনগণের ভোট নিশ্চিত হয়েছে এমন নির্বাচন বলাটা খুবই কঠিন হবে।

এর আগে বেলা সাড়ে ১১টায় নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে টিআইবির প্রতিনিধি দলের বৈঠক শুরু হয়। এতে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল, নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব.),  নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা, নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর, নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান, নির্বাচন কমিশন সচিব শফিউল আজিম অংশ নেন।

আরএইচটি/এসএসএইচ