টিকটকারদের ঋণ শোধ করতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের হুইপ সাইমুম সরওয়ার কমল। তিনি কক্সবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য।

শুক্রবার (৩১ মে) বিকেলে কক্সবাজারের একটি কমিউনিটি সেন্টারে কক্সবাজার টিকটক পরিবার ব্যানারে টিকটকারদের মিলনমেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। সেখানে কক্সবাজারসহ বিভিন্ন এলাকার শতাধিক টিকটকার উপস্থিত ছিলেন।

এসময় টিকটকারদের ঋণ শোধ করতে পারবেন না জানিয়ে এমপি সাইমুম সরওয়ার কমল বলেন, ‘গত সংসদ নির্বাচনে আমার আসনের সমস্ত টিকটক পরিবারের সদস্যবৃন্দ আমার জন্য অনেক কষ্ট করেছেন। আমার পক্ষে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। আপনারা অনলাইন যুদ্ধের শামিল হয়েছেন। এই ঋণ আমি কখনো শোধ করতে পারবো না।’

টিকটকারদের টিকটক বানাতে উৎসাহ দিয়ে তিনি বলেন, ‘এমনভাবে আপনারা টিকটিক বানাবেন, যাতে ছেলেমেয়েরা বেকার না থাকে; যাতে করে তারা কর্মশক্তির দিকে ছুটে যায়। এমন করে আপনারা টিকটিক বানাবেন, যাতে করে আমাদের মাঝে ধর্মীয় চর্চাটা বেশি বৃদ্ধি পায়। এমন করে টিকটক বানাবেন, যাতে আমাদের দেশে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে মানুষের সমর্থন আরও বৃদ্ধি পায়। এমন করে আপনারা টিকটক বানাবেন, যাতে আমাদের দেশের ছেলেমেয়েরা সংস্কৃতিকে লালন করে, কবিতা-সাহিত্যকে পছন্দ করে। এমন করে টিকটক বানাবেন, যাতে বিজ্ঞানের আবিষ্কার সম্পর্কে মানুষ জানতে পারে। শুধু টিকটক বানালে হবে না, ওই টিকটক থেকে আয় করতে হবে। মনে রাখতে হবে, অর্থ আয় ছাড়া নিজের পেটও চলবে না, গাড়িও চলবে না।’

তিনি বলেন, ‘আমি আজকে খুব বেশি আনন্দিত। কারণ কক্সবাজার জেলার টিকটক পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ প্রায় সবাইকে এখানে দেখতে পাচ্ছি। এটা আমাদের জন্য অনেক বড় একটা সুযোগ। আজকে যে টিকটক পরিবার এক হয়েছে এটি খুব বেশি প্রয়োজন ছিল। আমাদের প্রত্যেকটি জায়গায় ঐক্যের দরকার। ঐক্য যদি না থাকে, তাহলে নিজেদের স্বাধীনতা, নিরাপত্তা, সমস্যা, সমাধান অনেক কষ্টকর হয়ে যাবে। আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি, জেলার গুরুত্বপূর্ণ টিকটক পরিবারের সদস্যদেরকে এই জায়গায় এসে একটি অনুষ্ঠান করার জন্য।’

সংসদ সদস্য কমল বলেন, ‘বিশ্বে এখন মার্কেটিংয়ে সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হচ্ছে  অনলাইন। এই মার্কেটিং ব্যবস্থায় আপনাদের সবাইকে একীভূত করতে হবে। টিকটক পরিবারের সদস্য যারা আছেন, আমি মনে করি, আপনাদের একটি উপদেষ্টামণ্ডলী থাকা দরকার। অথবা কমিটির সর্বশেষ সদস্য হিসেবে আমাদের টিপু সুলতান ও আমাকে রাখবেন। এটা দিয়ে আমাদের পয়সা ইনকাম করতে হবে। শুধু বিনোদনের জন্য টিকটক নয়, জীবিকার জন্য টিকটক। এই ফর্মুলায় সকলকে নতুন করে কাজ শিখতে হবে।’

আরএমএন/এমএ