ফাইল ছবি

এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যার তদন্ত করতে শনিবার (১ জুন) সকালে নেপালে যাচ্ছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একটি দল।

শুক্রবার (৩১ জুন) দিবাগত রাতে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ডিবির এক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলন, এমপি আনার হত্যা মামলা তদন্তে কাজে শনিবার (১ জুন) সকালে একটি ফ্লাইটে ডিবির তিন সদস্য একটি দল নেপালে যাচ্ছে। দলটির নেতৃত্বে রয়েছে ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

ডিবি সূত্রে জানা যায়, আনার হত্যার কিলিং মিশনে অংশ নেওয়া আরেক অভিযুক্ত সিয়াম বর্তমানে নেপালের কাঠমান্ডুতে রয়েছে। এই বিষয়ে নেপাল কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বাংলাদেশ পক্ষ থেকে।

এর আগে ১২ মে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে যান এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার। সেদিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে কলকাতায় তার পারিবারিক বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের সঙ্গে দেখা করতে যান। পরের দিন, ১৩ মে চিকিৎসক দেখাতে হবে জানিয়ে দুপুর ১টা ৪১ মিনিটে গোপালের বাড়ি থেকে বের হন আনার। সন্ধ্যায় ফিরবেন বলেও জানান তিনি। পরে বিধান পার্কের কাছে কলকাতা পাবলিক স্কুলের সামনে থেকে ট্যাক্সিতে উঠেছিলেন তিনি।

চলে যাওয়ার পর সন্ধ্যায় আজিম তার বন্ধু গোপালকে জানান, তিনি দিল্লি যাচ্ছেন এবং সেখানে পৌঁছে তাকে ফোন করবেন। পরে তার সঙ্গে ভিআইপিরা আছেন জানিয়ে বন্ধু গোপালকে ফোন না দেওয়ার জন্য সতর্ক করেছিলেন।

গত ১৫ মে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো বার্তায় এমপি আনার বন্ধু গোপালকে জানান, তিনি দিল্লি পৌঁছেছেন এবং ভিআইপিদের সঙ্গে আছেন। তাকে ফোন করার দরকার নেই। একই বার্তা পাঠান বাংলাদেশে তার ব্যক্তিগত সহকারী রউফের কাছেও।

১৭ মে আনারের পরিবার তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে গোপালকে ফোন করেন। ওই সময় তারা গোপালকে জানান, তার (আনার) সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না তারা। পরিবারের পক্ষ থেকে ওই দিন ঢাকায় থানায় অভিযোগ করা হয়। এরপর থেকে এমপি আনারের খোঁজ পাওয়া যায়নি। 

২০ মে এমপি আনারের খোঁজ করতে গিয়ে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ তার মোবাইল লোকেশন ট্র্যাক করে। তারা জানতে পারে, কলকাতায় বন্ধুর বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর তার মোবাইলের লোকেশন একবার পাওয়া গিয়েছিল সেখানকার নিউমার্কেট এলাকায়। এরপর ১৭ মে তার ফোন কিছুক্ষণের জন্য সচল ছিল বিহারে। পরে বুধবার (২২ মে) ভারতের এনডিটিভির খবরে বলা হয়, কলকাতার নিউ টাউনের সঞ্জিভা গার্ডেন্সের একটি ফ্লাটে এমপি আনারকে খুন করা হয়েছে।

এমএসি/এমএ