সোমালি জলদস্যুদের প্রতিরোধে কিছুই করার নেই আইএমওর
সোমালি জলদস্যুদের হাতে জাহাজ ছিনতাই বন্ধে ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের (আইএমও) আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার কোনো ক্ষমতা নেই বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির সেক্রেটারি জেনারেল আর্সেনিও ডমিঙ্গুয়েজ।
বৃহস্পতিবার ( ৩০ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আলোচনা অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান আর্সেনিও।
বিজ্ঞাপন
আইএমও সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, লোহিত সাগরে সোমালিয়া জলদস্যুদের দ্বারা বিভিন্ন সময়ে জাহাজ আক্রমণ হয়েছে। সম্প্রতি আমরা দেখেছি, বাংলাদেশি জাহাজ এম আব্দুল্লাহর নাবিকদের জিম্মি করা হয়েছে। লোহিত সাগরে সোমালি জলদস্যুদের প্রতিরোধে রাষ্ট্রগুলোকেই উদ্যোগ নিতে হবে। এক্ষেত্রে আইএমওর আইনগত পদক্ষেপ নেয়ার কোনো ক্ষমতা নেই।
আর্সেনিও ডমিঙ্গুয়েজ বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু ঝুঁকিতে রয়েছে। সে কারণে সমুদ্রে কার্বন নিঃসরণ কমালে, বাংলাদেশেও প্রভাব পড়বে। আইওএম নৌ-খাতে টেকনোলজি উন্নয়নের লক্ষ্যে নানা প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করছে। একই সঙ্গে ধাপে ধাপে সমুদ্রে জিরো কার্বন নিঃসরণেও কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে আইওএম।
অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, আন্তর্জাতিক শিপিং বিশ্বের অর্থনীতিকে সচল রাখে। সমস্ত বিশ্ব বাণিজ্যের ৮০ শতাংশ বন্দর থেকে বন্দরে হয়ে থাকে। এ কারণে এই পথ ধরে যথেষ্ট গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গত হয়। আশা করা হচ্ছে যে, ২০৫০ সালের মধ্যে সামুদ্রিক বাণিজ্যের পরিমাণ তিনগুণ হবে। এর ফলে এই শিল্পটি সংশোধনমূলক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হলে নির্গমনও বাড়বে।
মাসুদ বিন মোমেন বলেন, শিল্প নেতারা ইতোমধ্যে জলবায়ু বান্ধব জ্বালানি বিকল্প এবং জ্বালানি দক্ষতা নিয়ে কাজ শুরু করেছেন। আমি বিশ্বাস করি, নেট জিরো ভিশন অর্জন করার সময়, আইএমও সমস্ত সদস্য রাষ্ট্রের স্বার্থ রক্ষা করবে। গত বছরের জুনে বাংলাদেশ জাহাজের নিরাপদ এবং পরিবেশগতভাবে সঠিক পুনর্ব্যবহার করার জন্য হংকং কনভেনশন অনুমোদন করেছে। আমরা এই কনভেনশনের বিধি ও আমাদের রিসাইক্লিং শিল্প অর্জনে আইএমওর অব্যাহত সমর্থন আশা করি ।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইমস অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) খুরশেদ আলম।
উল্লেখ্য, চার দিনের সফরে ঢাকায় বুধবার ঢাকায় আসেন আর্সেনিও ডমিঙ্গুয়েজ। ঢাকা বিমানবন্দরে আর্সেনিওকে স্বাগত জানান লন্ডনে নিযুক্ত হাইকমিশনার সাঈদা মুনা তাসনিম ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ডিজি কমডোর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম।
এনআই/এসকেডি