৩১ মের পর বাংলা‌দেশসহ ১৫‌টি দেশ থে‌কে আর কোনো শ্রমিক মালয়েশিয়ায় ঢুকতে না দেওয়ার ঘোষণা দি‌য়ে‌ছে কুয়ালালামপুর। দেশ‌টির এমন সিদ্ধান্তে পরিবর্তন না আসার কথা জানিয়েছেন খেদ ঢাকায় নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনা মোহম্মদ হাসিম।

বুধবার (২৯ মে) ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব)-এর স‌ঙ্গে আলাপকা‌লে এ তথ্য জানান হাইক‌মিশনার।

হাইক‌মিশনার ব‌লেন, কর্মীদের কর্ম পরিবেশ উন্নত করতে মালয়েশিয়া সরকার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ এবং আন্তরিক। বিষয়গুলো আমরা যত্ন নিয়ে দেখছি। আগামী ৩১ মের মধ্যে মালয়েশিয়ায় কোটা অনুযায়ী সব কর্মী পাঠাতে হবে। বিষয়‌টি আগে জানা‌নো হ‌য়ে‌ছে। মালয়েশিয়া শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের ১৫টি দেশের জন্য আগামী ৩১ মের মধ্যে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক নেওয়া বন্ধ করেছে।

হাজনা হাসিম ব‌লেন, একটি বিষয় ওপেন সিক্রেট যে মালয়েশিয়ায় প্রচুর অবৈধ লোকজন বসবাস করছে। তাই মালয়েশিয়া সরকার দেশের জাতীয় নিরাপত্তা স্বার্থ এবং কর্মীদের নিরাপত্তা স্বার্থ বিবেচনা করে বিদেশি কর্মী সংক্রান্ত রিক্যালিব্রেশন প্রোগ্রাম নতুনভাবে সাজাচ্ছে। আমি বিশ্বাস করি যে এরপর থেকে অবৈধভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ হবে। ভবিষ্যতে যাতে কর্মীদের জীবন সুন্দর হয় সেজন্য আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তবে এই বিষয়ে উভয় দেশের সরকারকেই কাজ করতে হবে। আশ করছি, সামনে বাংলাদেশ থেকে যারা কুয়ালালামপুরে যাবে তারা উন্নত পরিবেশ পাবে। 

হাইক‌মিশনার ব‌লেন, আমরা এই মুহূর্তে বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি, আমাদের একটু সুযোগ দিতে হবে। আমাদের দুই সরকারের মধ্যে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক বিদ্যমান। এই পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে আমি আশা করি।

শ্রম বাজারের সিন্ডিকেট নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশ একমাত্র দেশ নয় যেখান থেকে মালয়েশিয়া কর্মী নিয়ে থাকে। মালয়েশিয়া বিশ্বের ১৫টি দেশ থেকে কর্মী সংগ্রহ করে। এসব দেশ থেকে আমরা সর্বোচ্চ পর্যায়ের ভালো কর্মী নিয়ে থাকি। আমাদের এখানে সিন্ডিকেট থাকতে পারে, যা বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া উভয় সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে।

অনুষ্ঠা‌নে হাইক‌মিশনার দুই দে‌শের দ্বিপক্ষীয় বি‌ভিন্ন ইস্যুতে কথা ব‌লেন। বি‌শেষ ক‌রে তি‌নি বা‌ণিজ্য, শিক্ষা, পর্যটন এবং চিকিৎসা সেবায় দেশ‌টিতে যেসব সু‌যোগ-সু‌বিধা র‌য়ে‌ছে সেগু‌লো তু‌লে ধ‌রেন।

ডিক্যাব সভাপতি নূরুল ইসলাম হাসিব ও সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান অপুসহ সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা অনুষ্ঠা‌নে উপ‌স্থিত ছি‌লেন।

এনআই/এসকেডি